গত কয়েকমাস ধরেই সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে রয়েছেন বলিউড সুপারস্টার সলমন খান (Salman Khan)। মাস খানেক আগে বলি তারকা খুনের হুমকিও পেয়েছিলেন। এরপর আঁটোসাঁটো করে নিয়েছেন নিজের নিরাপত্তা। সেই সঙ্গেই সুরক্ষার খামতি যাতে না থাকে তাই বন্দুকের জন্য আবেদনও করেছেন তিনি।
এসবের মাঝেই ফের এক বিতর্কে জড়িয়েছে ভাইজানের নাম। প্রতিবেশীর সঙ্গে হওয়া সেই বিতর্ক গড়িয়েছে বম্বে হাইকোর্ট (Bombay High Court) পর্যন্ত। পানভেল ফার্ম হাউসের প্রতিবেশী কেতন কক্কড়ের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছেন ভাইজান। অভিযোগ এনেছেন, কেতনের এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট তাঁকে বদনাম করেছে। সেই সঙ্গেই সাম্প্রদায়িক বিবাদও ছড়াতে পারে।
চলতি বছরের মার্চ মাসে কেতনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন সলমন। সেই মামলা নিয়েই এবার তিনি হাইকোর্ট পর্যন্ত চলে গিয়েছেন। এই মামলার শুনানি চলাকালীন সলমনের তরফ থেকে বলা হয়েছে, কেতনের সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা ভিডিওয় সলমনের বিরুদ্ধে মিথ্যা বদনাম দেওয়া হয়েছে। সেই কারণে যাতে সেই ভিডিও নেটদুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়, সেই আর্জি জানানো হয়েছে।
বলি সুপারস্টারের উকিল রবি কদম কোর্টে বলেন, কেতন সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভিডিও আপলোড করেছেন, সেটি শুধুমাত্র যে সলমনের অপমান করেছেন তাই নয়, সেখান থেকে সাম্প্রদায়িক অশান্তিও হতে পারে। উনি কেতনের আপলোড করা ভিডিও দেখে বলেন, কেতন দাবি করেছেন সলমন তাঁর পানভেল ফার্ম হাউসের পাশের একটি গণেশ মন্দির বন্ধ করার চেষ্টা করছেন। শুধু তাই নয়, অযোধ্যা মন্দিরের প্রসঙ্গে টেনে এনে তিনি বলি সুপারস্টারের তুলনা বাবর এবং ঔরঙ্গেজেবের সঙ্গেও করেন।
শুধু এটুকুই নয়, সলমনের প্রতিবেশী দাবি করেছেন, সলমন নাকি কুখ্যাত ডন দাউদ ইব্রাহিমের গ্যাংয়ের সদস্য। বলি সুপারস্টার মাদক পাচার, মানব অঙ্গের পাচার, শিশু পাচার সহ একাধিক কুকর্মের সঙ্গে জড়িত। সলমনের দাবি, তাঁকে বদনাম করার জন্য এই ভিডিও আপলোড করেছেন কেতন।
সলমনের একাধিক ‘কুকর্ম’এর এই ভিডিও মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। এই ভিডিও দেখার পর ভাইজানকে ধুয়ে দিয়েছেন নেটাগরিকদের একাংশ। সলমনের আইনজীবীর বক্তব্য, এই ভিডিও দেখে হিন্দু এবং মুসলিমদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক বিবাদ হতে পারে। আগামী ২২ আগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।