বর্তমানে বলিউডের (Bollywood) প্লেব্যাক গায়িকাদের মধ্যে অন্যতম নেহা কক্কর (Neha Kakkar)। নেহা কক্করের গান শোনেনি এমন যুবক যুবতী এযুগে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। সাকি সাকি থেকে শুরু করে লন্ডন থুমাকদা গান প্রায় সকলেই শুনেছেন। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন এই সমস্ত গান নেহা কক্করের গাওয়া। ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চের বিজেতা নেহা কক্কর আজ বলিউড সেলেব্রিটি হয়ে গিয়েছেন। কিন্তু শুরু থেকেই এমন ছিল না জীবন। নেহা কক্করের জীবন কাহিনী রীতিমত হার মানাতে পারে বলিউডের স্টোরিকেও।
আজ তিনি জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছালেও একসময় প্রবল সংগ্রামের মধ্যে দিয়েই জীবন কেটেছে গায়িকার। ছোট থেকেই তাঁর গানের প্রতি ছিল চূড়ান্ত আকর্ষণ। কিন্তু তার অর্থনৈতিক অবস্থা ছিল প্রবল খারাপ। তাই পয়সা উপার্জন করতে ভজনে গিয়ে পয়সার বিনিময়ে গান করতেন নেহা ও তার দিদি এবং ছোট ভাই।
চোখে একরাশ স্বপ্ন নিয়ে মাত্র ১৪ বছর বয়সে ইন্ডিয়ান আইডলের প্রতিযোগী হয়ে গিয়েছিলেন নেহা। তারপর তো জীবন বদলে গেল, কিন্তু একসময় হৃষিকেশের এক জরাজীর্ণ বাড়িতে কোনোও রকমে পরিবারের সাথে দিন গুজরান করতেন নেহা কক্কর। একটি ঘরের মধ্যেই থাকতেন মা বাবা ভাই।
একসময় পালা গান গেয়ে মাত্র ৫০০ টাকা পারিশ্রমিক পেয়েন নেহা। আর এখন মাত্র ৩ মিনিটের গানের জন্য ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা চার্জ করেন নেহা কক্কর। আর কোনো কনসার্টে বা অনুষ্টানে গিয়ে গান গাইতে নেহার পারিশ্রমিক ১৫-২০ লক্ষ টাকার বেশি। ২০০৮ সালে ‘নেহা দ্য রকস্টার’ নামক একটি অ্যালবামের সুবাদে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছেছিলেন গায়িকা। অবশ্য এর আগে নেহার দিদি সোনু কাক্কারের বাবুজি যারা ধীরে চলো নামক গানটি হিট হয়ে যায়। যার ফলে কিছুটা হলেও আর্থিক উন্নতি হয়েছিল তাদের পরিবারের।