ভারত তথা বিশ্বের সবচাইতে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় রয়েছে মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) নাম। আর স্বামী কোটিপতি হওয়ায় স্ত্রী নীতা আম্বানিও (Neeta Ambani) বেশ পরিচিত সকলের কাছেই। তবে স্বামী স্ত্রীকে চিনলেও বাকি আম্বানি পরিবারের খোঁজ খুব একটা জানেন না কেউই! এমন একজন রয়েছেন যিনি আম্বানি পরিবারের সদস্য হয়েও এলাহী জীবন ছেড়ে অতি সাধারণের মত জীবন কাটাচ্ছেন।
তিনি আর কেউ নন মুকেশ আম্বানির শালী তথা নীতা আম্বানির নিজের বোন মমতা দালাল (Mamata Dalal)। আসলে কোটিপতি হয়ে এলাহী জীবন কাটানোর পক্ষপাতী নন তিনি। জৌলুসে ভরা এলাহী জীবনযাপন থেকে দূরে থাকতেই পছন্দ করেন নীতা আম্বানির বোন মমতা দালাল। যেমনটা জানা যায় দিদি নীতার থেকে ৪ বছরের ছোট মমতা।
পেশায় একজন শিক্ষিকা মমতা। ক্যামেরা আর প্রচারের থেকে নিজেকে একেবারেই দূরে সরিয়ে রাখতে পছন্দ করেন তিনি। যেকারণে পরিবারের কোনো পার্টিতে উপস্থিত থাকলেও খুব কমই তাকে ক্যামেরায় দেখতে পাওয়া যায়। ২০১৯ সালে আম্বানির ছেলে আকাশ আম্বানির বিয়ের সময় দেখা মিলেছিল তাঁর। সাথে নীতা আম্বানির মা বাবাকেও দেখা গিয়েছিল। বোনের মত নীতা আম্বানির বাবা মাকেও ক্যামেরার সামনে সেভাবে দেখা যায় না।
নীতা আম্বানির বোন মমতা একজন স্কুল শিক্ষিকার কাজ করেন। তবে অন্য কোথাও নয়, বরং ধীরুভাই আম্বানি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলেই স্কুলের ব্যবস্থাপনা পরিচালনা করেন ও সেখানকার বাচ্চাদের পড়ান মমতা। স্কুলটির চেয়ারম্যান বা মালিক তারই দিদি নীতা আম্বানি। এই স্কুলে মূলত বলিউডের সিলেব্রিটিদের ছেলেমেয়েরাই পড়তে আসে। সুতরাং আলাদা করে বলার নেই যে এই স্কুলটি ভারতের সবচাইতে ব্যয়বহুল স্কুলের মধ্যে অন্যতম।
তবে, স্কুলের শিক্ষিকা ও পরিচালক মন্ডলীর সদস্য হবার জন্য মোটা বেতন পান মমতা দালাল। প্রায় লক্ষাধিক টাকা বেতন রয়েছে তার। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন শাহরুখ খান থেকে সচিন তেন্ডুলকারের সন্তানদের নিজেই পড়াশোনা শিখিয়েছেন মমতা। তবে পড়াশোনা শেখানোর পাশাপাশি শরীরচর্চা ও কিছু ওয়ার্কশপও করিয়েছেন তিনি।