নীনা গুপ্তা (Neena Gupta) বলিউডের অন্যতম স্পষ্টভাষী অভিনেত্রী। অনেক নারীর কাছেই আজ তিনি অনুপ্রেরণা। তবে একটা সময় গিয়েছে যখন তাঁর সঙ্গী বলতে ছিল কেবলমাত্র একাকীত্ব। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটার ভিভ রিচার্ডসের সঙ্গে প্রেম থেকে ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড, মাসাবার জন্ম থেকে সিঙ্গেল মাদার গোটা সময়টাই কাটিয়েছেন প্রচন্ড লড়াই করে। কিন্তু জীবনের অতি কঠিন সমযয়টাও পার করেছেন শুধুমাত্র নিজের ইচ্ছাশক্তির ওপর ভর করে।
সদ্য প্রকাশিত হয়েছে পেঙ্গুইন ইন্ডিয়া প্রকাশনা সংস্থার তরফে প্রকাশিত তাঁর আত্মজীবনী ‘সচ কহু তো: মেরি আত্মকথা’। এই বইতে নিজের ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনের অনেক অজানা তথ্য তুলে ধরেছেন নীনা। এছাড়া বলিউডে কাস্টিং কাউচের মতো এক ঘৃণ্য রূপের উন্মোচন করেছেন অভিনেত্রী। জানিয়েছেন কেরিয়ারের শুরুতে তাঁকে হোটেলে রাত কাটানোর প্রস্তাবও দিয়েছিলেন এক প্রযোজক।
অভিনয়ের তুলনায় বরাবরই ব্যাক্তিগত সম্পর্কের কারণে শিরোনামে এসেছেন নীনা। নীনা আর ভিভের কন্যা মাসাবা গুপ্তা। তবে নীনা হলেন সিঙ্গেল মাদার। একটা সময় ছিল যখন প্রেমিক হোক কিংবা স্বামী কেউ পাশে ছিল না তাঁর। তবে র্তমানে বিবেক মেহরার সঙ্গে বিয়ে করে সুখী দাম্পত্যে থাকলেও কর্মসূত্রে তাঁরা আলাদাই থাকেন। জীবনের এই সমস্ত অদম্য লড়াই, একাকীত্ব সবটাই তুলে ধরেছেন নিজের আত্মজীবনীতে।
এছাড়া বলিউডে একাধিক বার নানা ইস্যুতে সরব হতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। উল্লেখ্য নারী পুরুষের বেতন বৈষম্য বরাবরই বলিউডের অন্যতম চর্চিত বিষয়। সম্প্রতি এ বিষয়ে ব্যাঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে নিজের মত প্রকাশ করেছেন নীনা গুপ্তা। তিনি বলেছেন পুরুষ এবং মহিলা অভিনেতাদের মধ্যে বেতন বৈষম্য একটি বিভ্রম ছাড়া আর কিছুই নয়। তাঁর কথায় ‘বেতন বৈষম্যের এই প্রশ্নটা আমার ভালো লেগেছে। কোন পেশায় একজন পুরুষের চেয়ে একজন মহিলাকে কি কখনো বেশি ফি দেওয়া হয়েছে? একজন গৃহিণীর দিকে তাকান, তারা কত কাজ করে। তারা কি এর জন্য কখনও বেতন পান? না তবে এটা ঠিক তাকে বাড়ির জিনিসপত্র আনার জন্য টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু যখন সে নিজের জন্য কিছু চায় , তখন তাকে তার স্বামীর অনুমতি নিতে হয়।’
নিনা আরও বলেন, ‘তুমি পছন্দ কর বা না কর, এটাই পুরুষের পৃথিবী। তাই বাড়ি হোক বা অফিস, পুরুষ সব সময় কাজ করে যাচ্ছে। যেখানে একজন মহিলা পুরুষের থেকে বেশি কাজ করে। আপনি বলতে পারেন যে পুরুষদের কর্মক্ষেত্রে অনেক চাপ থাকে। কিন্তু একজন মহিলার কাজ কখনই শেষ হয় না, রান্না করা থেকে শুরু করে পরিষ্কার করা, এবং তারপরও মানুষ অসুখী। ‘ কিন্তু সেইসাথে এই নীনা জানিয়েছেন সমাজের এই বিশেষ দিকটি তিনি এখন মেনে নিয়েছেন, এখন তিনি এই বিষয়ে পরিবর্তনের আর কোনো আশা দেখতে পান না।