এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনে (Television) সম্প্রচারিত অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক (Serial) হল ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phuler Modhu)। অল্প সময়ের মধ্যেই দর্শকমনে বিশেষ স্থান অর্জন করে নিয়েছে এই সিরিয়াল। টিআরপি তালিকাতেও ‘নিম ফুলের মধু’র অবস্থান বেশ ভালো। প্রথম তিনের মধ্যে নিজের স্থান ধরে রেখেছে সৃজন (Srijan)-পর্ণা (Parna)-বাবুউউউর মা’রা। এবার এই ধারাবাহিকেই আসতে চলেছে একটি ধামাকেদার মোড়।
একান্নবর্তী বাঙালি পরিবারের চিত্র ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে জি বাংলার (Zee Bangla) ‘নিম ফুলের মধু’তে। কীভাবে বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি গিয়ে মেয়েদের অ্যাডজাস্ট করতে হয় সেই কাহিনীও দেখানো হচ্ছে এখানে। বাস্তবভিত্তিক গল্প দেখিয়ে দর্শকদের প্রশংসা আদায় করে নিয়েছে জি বাংলার এই সিরিয়াল। সেই সঙ্গেই আবার ছেলে-বৌমার সংসারে আগুন লাগানোর চেষ্টা করে সবার চক্ষুশূল হয়ে উঠেছে ‘বাবুউউউর মা’ অর্থাৎ কৃষ্ণা।

‘বাবুউউউর মা’ এমন একজন মানুষ যিনি ছেলের বিয়ের পরেও তাঁকে ছাড়তে নারাজ। তাঁর মনে সবসময় একটা ভয় ঘোরে, এই বুঝি ছেলের বৌ তাঁর ছেলেকে তাঁর থেকে দূরে সরিয়ে দেবে। ছেলেকে চিরকাল নিজের আঁচলে বেঁধে রাখতে চায় কৃষ্ণা। তাঁর একটাই বাসনা, বাবু যেন কখনওই পর্ণাকে সমর্থন না করে।
বিয়ের পর সৃজন পর্ণাকে কোনও কিছুতেই সমর্থন করতো না। মায়ের কথাই তাঁর কাছে ছিল শেষ কথা। কিন্তু এখন আস্তে আস্তে কাছাকাছি আসছে সৃজন-পর্ণা। একে অপরকে ভালোবাসতেও শুরু করেছে তাঁরা। আর এই বিষয়টাই হজম হচ্ছে না কৃষ্ণার। যেন তেন প্রকারেণ ছেলে আর বৌমাকে আলাদা করতে চাইছেন তিনি।

শুধু এটুকুই নয়, কৃষ্ণা এখন চাইছে বাবু আর পর্ণার মধ্যে ঝগড়া হোক। আর সেই সুযোগে তিনি তিন্নির সঙ্গে নিজের ছেলের আবার বিয়ে দেবেন। যদিও কৃষ্ণার নিজের একার প্ল্যানিং নয়, তাঁকে এই বিষয়ে মদত দিচ্ছে পর্ণার জা। এসবের মাঝেই দত্ত বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হচ্ছে পর্ণাকে।
না রাগ করে নয়, বরং অফিসের কাজের সূত্রে সুন্দরবন যেতে হবে পর্ণাকে। সৃজনের এই বিষয়ে পুরোপুরি সায় নেই। কিন্তু ছেলের বৌ বাড়ি ছেড়ে কয়েকদিনের জন্য চলে যাচ্ছে শুনে আনন্দের সীমা নেই কৃষ্ণার। সকাল সকাল মৌমিতাকে নিয়ে মন্দিরে পুজো দিতে ছুটেছে সে। এবার দেখা যাক, শেষ অবধি পর্ণা যেতে পারবে নাকি সৃজন ঠিক শেষ মুহূর্তে বৌকে আটকে দেবে!














