জি বাংলার (Zee Bangla) পর্দায় সম্প্রচারিত অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক (Serial) হল ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phuler Modhu)। খুব কম সময়ের মধ্যেই দর্শকমনে স্থান করে নিয়েছে সৃজন, পর্ণা (Parna), কৃষ্ণারা। ধারাবাহিকের অন্যতম আকর্ষণ হল, নায়িকা পর্ণার সঙ্গে তাঁর শাশুড়ির আদায় কাঁচকলায় সম্পর্ক। উঠতে বসতে বাবুর মায়ের সঙ্গে ঝগড়া লেগে থাকে পর্ণার।
ছেলের বৌয়ের সবকিছুতে আগ বাড়িয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার বিষয়টি একেবারেই পছন্দ নয় কৃষ্ণার (Krishna)। অতীতেও এই নিয়ে একাধিকবার ঠোকাঠুকি লেগেছে কৃষ্ণা এবং পর্ণার। এবার আবার লখনউয়ে গিয়ে বাইজী নাচ নেচে এসে দত্ত বাড়ির সকলের রোষের মুখে পড়েছে বাবুর বৌ। জেঠু থেকে শুরু করে শাশুড়ি মা- সকলের কাছে কটু কথা শুনতে হচ্ছে তাঁকে।
‘নিম ফুলের মধু’তে কয়েকদিন আগেই দেখানো হয়েছে, গারদে ভরা হয়েছে ছোটকাকে। সেই মামলায় পুলিশ সঠিক তদন্ত করছে না দেখে নিজেই গোয়েন্দাগিরি করতে নেমে পরে পর্ণা। বাবু এবং নিজের দলের সদস্যদের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করে লখনউ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সে।
ভিন রাজ্যে গিয়ে ফের ছদ্মবেশ ধারণ করে সৃজন এবং পর্ণা। সেখানে গিয়ে আবার বাইজী নাচও নাচে সে। আর ব্যস, একথা জানাজানি হতেই ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধে দত্ত বাড়িতে। ধারাবাহিকের আসন্ন পর্বে দেখানো হবে, সকালবেলা পেপার পরতে গিয়ে পর্ণার বাইজী রূপ ধারণের কথা জানতে পারে বাবুর জেঠু।
সঙ্গে সঙ্গে ঘরে এসে সকলকে সেকথা জানায় সে। বাবুর মা একথা শোনার পরেই সে বাড়ি থেকে পর্ণাকে বের করে দেওয়ার কথা বলে। মায়ের মুখে একথা শুনে স্ত্রীয়ের পাশে দাঁড়ায় সৃজন। সঙ্গে সঙ্গে বলে, পর্ণাকে যদি বাড়ি থেকে বের করা হয়, তাহলে সেও বাড়ি ছাড়বে। প্রাণের বাবু বাড়ি ছাড়বে শুনে শেষ পর্যন্ত কৃষ্ণা বলে, পর্ণা প্রায়শ্চিত্ত করলে তাঁকে বাড়িতে থাকতে দেওয়া হবে।
এরপর দত্ত বাড়িতে পুরোহিত আসে। পুজোঅর্চনার পর তিনি বলেন, পর্ণা জিভে গোবর ঠেকালেই তাঁর সব পাপ ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যাবে এবং সেই সঙ্গেই সম্পূর্ণ হবে তাঁর প্রায়শ্চিত্ত। একথা শুনে স্বাভাবিকভাবেই রুখে দাঁড়ায় পর্ণা। সব মিলিয়ে পর্ণার বাইজী সাজার কথা জানাজানি হওয়ার পর দত্ত বাড়ির হাওয়া এখন বেশ গরম হয়ে গিয়েছে। এবার দেখা যাক, কীভাবে এই পরিস্থিতি আবার ঠাণ্ডা হয়।