তুলনামূলকভাবে নতুন হলেও অল্প দিনেই বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে জি বাংলার ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phuler Madhu) সিরিয়াল। বাকিরা যেখানে জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে সেখানে দিব্যি প্রথম থেকেই TRP ধরে রেখেছে সৃজন-পর্ণার (Srijan Parna) কাহিনী। বিয়ের পর একজন মেয়েকে কিভাবে মানিয়ে নিতে হয় শ্বশুরবাড়িতে, সাথে কিভাবে নিজের সংগ্রামের মধ্যে দিয়েও নিজের আলাদা পরিচয় গড়ে তুলতে পারা যায় সেই নিয়েই সরাইলের কাহিনী।
অনেকেই নিজেদের জীবনের সাথে মিল খুঁজে পেয়েছেন এই কাহিনীর। নিয়মিত দর্শকেরা জানেন, বিয়ের পর থেকেই দত্তবাড়িতে একাধিক নিয়মের বেড়াজালে বাধার চেষ্টা করা হয়েছে পর্ণাকে। কিন্তু পর্ণা সবকিছু মুখ বুজে মেনে নেওয়ার মত মেয়ে নয়। কিভাবে নিজের সন্মান রক্ষা করতে হয় সেটা ঠিকই জানে সে।
সেই কারণে প্রতিপদেই তাকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে চচ্ছে। সম্প্রতি চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দিয়ে চাকরি পেয়ে গিয়েছে পর্ণা। কিন্তু প্রথম দিনে অফিসে যাওয়ার আগেই চরম বিপাকে পড়তে হয়েছিল তাকে। বেরোনোর আগেই কৃষ্ণা তাকে সাফ জানিয়েছে, চাকরি করলে দত্ত বাড়িতে তাঁর জায়গা নেই।
প্রথম কাজের দিনেই অফিস পৌঁছতে দেরি হয় পর্ণার। তবে বাড়ি ফিরলে যে একটা অশান্তি হবে সেটা আগেভাগেই আঁচ করতে পেরেছিল সে। যথারিতি হলও তাই, রাতে বাড়ি ফিরতেই বাড়ির সকলে হাজির হয়, কৃষ্ণা আর জেঠু মিলে অপমান করে পর্ণাকে। এরপর রাত্রি ৯টার সময়েই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলা হয়।
এত অপমানের পরেও স্বামী সৃজনকে দ্বিতীয় সুযোগ দিতে চেয়েছিল পর্ণা। সৃজনকে জিজ্ঞাসা করে তারও কি একই মত? জবাবে পর্ণাকে সমর্থন তো দূর, কৃষ্ণার পায়ে পরে ক্ষমা চাইতে বলে পর্ণাকে। কাজেই দ্বিতীয় সুযোগ দিয়েও কোনো লাভ হয়নি বুঝতেই পারে সে।
এরপর নিজের সিদ্ধান্ত স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয় পর্ণা। চাকরি ছাড়তে রাজি নয় সে, প্রয়োজনে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতেও প্রস্তুত। এরপর রাতের বেলায় দত্তবাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় সে। পর্ণার এই আত্মসম্মান বোধ মুগ্ধ করেছে দর্শকদের। অনেকের মতেই বর্তমান সমাজের বাস্তব কাহিনীই তুলে ধরছে ‘নিম ফুলের মধু’। এখন আগামী দিনে কি হয় সেটাই দেখার অপেক্ষায় দর্শকেরা।