একঝাঁক বাংলা সিরিয়ালের (Bengali Serial) ভীড়েও এই মুহূর্তে আর পাঁচটা সিরিয়ালের থেকে কিন্তু বেশ আলাদা হয়ে উঠেছে জি বাংলার ( Zee Bangla) জনপ্রিয় মেগা সিরিয়াল ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phooler Madhu)। নিয়মিত দর্শকরা জানেন সিরিয়ালের নায়িকা পর্ণা (Parna) এ যুগের আধুনিক মেয়ে হলেও তার চিন্তাভাবনা বাকিদের থেকে একেবারে আলাদা।
তা সে যৌথ বাঙালি পরিবারে বিয়ে করার শখ হোক কিংবা পারিবারিক অশান্তির মধ্যে থেকেই সবার সাথে মানিয়ে নিয়ে চলার অদ্ভুত ক্ষমতা। সবেতেই দত্ত বাড়ির এই বৌমা তার ব্যাবহারে কিংবা আচার-ন আচরণে মুগ্ধ করে চলেছে বাংলা সিরিয়ালের দর্শকদের। সেইসাথে অল্প দিনেই দর্শকদের অত্যন্ত পছন্দের জুটি হয়ে উঠেছে এই ধারাবাহিকের নায়ক-নায়িকা সৃজন-পর্ণা অনস্ক্রিন রসায়ন।
শুরু থেকেই শাশুড়ি বৌমার কূটকচালী নিয়ে তৈরী এই ধারাবাহিকে একেবারে হুবহু ফুটে উঠেছে একাধিক মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবারের বাস্তব চিত্র। তাই ঘটনা গুলো দেখে যতই রাগ হোক না কেন এই সিরিয়ালের একটাও এপিসোড মিস করেন না দর্শক। যার নিয়মিত ছাপ পড়ছে টি আর পি তালিকাতেও। এই যেমন চলতি সপ্তাহের টি আর পি তালিকায় ছক্কা হাঁকিয়ে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে নিম ফুলের মধু।
টেলিভিশনের পর্দায় বয়স মাত্র তিন মাস হলেও জমে উঠেছে বাবুউর মা কৃষ্ণার গা জ্বালানো সংলাপ আর তাঁর তুখোড় অভিনয়। যার ফলে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের একাংশের রোষের মুখে পড়েছেন এই বাবুর মা অভিনেত্রী। পর্দায় অনস্ক্রিন বৌমা পর্ণার সাথে তাঁর শ্বাশুড়ির সাপে নেউলে সম্পর্ক। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলতে থাকে দেদার ট্রোলিং।
এই সিরিয়ালের নিয়মিত দর্শকরা জানেন ছেলের বিয়ের পরেও সৃজন অর্থাৎ বাবুর মা সারাক্ষণ ‘ছেলে হাতছাড়া’ হওয়ার একটা অদ্ভুত ভয়ে থাকে। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তৈরি হয় ট্রোল। তবে দর্শকরা যতই পর্ণার শ্বাশুড়িকে তুলোধোনা করুন না কেন। বাস্তবের পর্ণা অর্থাৎ অভিনেত্রী পল্লবী কিন্তু তাঁর অনস্ক্রিন শ্বাশুড়ির পাশেই দাঁড়ালেন।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রোলিং প্রসঙ্গে অভিনেত্রী খুবই স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন ‘আমি মিম হওয়াকে পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখি। আমার মনে হয়, মানুষের শত কাজের মধ্যেও তাঁরা আমাদের কাজ দেখছেন এবং মিম বানাচ্ছেন। এটাকে আমি সাফল্য হিসেবেই ধরি।’
পর্দায় পর্ণাকে তাঁর শ্বাশুড়ি সারাক্ষণ বিরক্ত করে। এবিষয়ে অভিনেত্রীর বিচক্ষণ জবাব ‘বিয়ের পর অন্য পরিবারের মেয়ে বাড়িতে এলে সব মায়ের মধ্যেই ইনসিকিউরিটি তৈরি হয়। একটা মেয়ে যখন অন্য বাড়িতে যায় তখনও তাঁর মানিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধা হয়।’