জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘নিমফুলের মধু’ (Neem Phooler Madhu) নিয়ে ইদানিং দর্শকমহলে চর্চার শেষ নেই। এই সিরিয়ালের নায়িকা অর্থাৎ দত্ত বাড়ির বৌমা পর্ণা একাই একশো।সাংবাদিকতার মতো পেশা সামলেও ঘরে বাইরে দুদিকেই দু হাতে দশভুজা পর্ণা। সিরিয়ালটির নিয়মিত দর্শকরা জানেন মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবারের গল্প নিয়ে তৈরি এই সিরিয়ালে মাঝে মধ্যেই ফুটে ওঠে বাস্তব জীবনের নানান দিক।
সম্প্রতি তেমনই এই ধারাবাহিকে জমজমাট পর্ব চলছে সৃজনের বোন বর্ষার বিয়ে ঘিরে। দেখা যাচ্ছে নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে দত্তবাড়িতে বর্ষাকে বিয়ে করতে এসেছে এক ঠক-যোচ্চোর অমিত। যে আসলে বিয়ের নামে টাকা নিয়ে জালিয়াতি করে বেড়ায়। ভুয়ো এই পাত্র এই কাজে একা নয় তার রয়েছে এক বিরাট চক্র।
যদিও ওপর থেকে সবকিছু ভালো দেখে আগেই সন্দেহ হয়েছিল পর্ণার। কিন্তু হাতে কোন প্রমাণ না থাকায় এতদিন কিছু করে উঠতে পারেনি সে। অবশেষে বর্ষার বিয়ের দিন সকালেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে অমিতের ফ্ল্যাটে ঢুকে পড়েছিল পর্ণা। কিন্তু সেখানে গিয়ে শেষ পর্যন্ত অমিতের হাতেনাতে ধরা পরে গিয়েছিল সে।
ইতিমধ্যেই দর্শক দেখেছেন অনেক কষ্টের অমিতের ফ্ল্যাট থেকে পালিয়ে বেঁচেছে সৃজন পর্ণা দুজনেই। এরপর তারা পুলিশের খবর দেওয়ার পাশাপাশি অমিতের যে আগেও একাধিক বিয়ে হয়েছে এবং বউ রয়েছে তার প্রমাণ জোগাড় করতে বেরিয়ে পড়েছিল।
অন্যদিকে দত্তবাড়িতে বিয়ে করতে এসে বিয়ে হওয়ার আগেই সৃজনের বাবার কাছে হাত পেতে টাকা চায় অমিতের বাবা। যা একেবারেই ভালো লাগেনি ঠাম্মির। তাই তিনি সরাসরি ছেলের বাবাকে টাকা দিতে বারণ করে দেন।
কিন্তু বাঁধ সাধেন বাবুর মা। ইতিমধ্যে দেখা গিয়েছে বিয়ের ঠিক আগের মুহূর্তে দত্তবাড়িতে পুলিশ সহ অমিতের আগের একাধিক বউদের নিয়ে হাজির সৃজন পর্ণা।শেষ মুহূর্তে সব কিছু ভেস্তে যাওয়ায় একেবারে অবাক অমিত। এখন দেখার সত্যিটা জানার পর দত্তবাড়ির সদস্যরা বিশেষ করে বাবুর মা আর জেঠুর কি প্রতিক্রিয়া হয়?