সিরিয়াল মানেই আজকাল বাস্তবের আয়না। আমাদের আশপাশের ঘটনার বাস্তব চিত্রই আজকাল সিরিয়ালের হাত ধরে ফুটে ওঠে টিভির পর্দায়। বাস্তবিকতায় মোড়া জি বাংলার (Zee Bangla) এমনই একটা জনপ্রিয় সিরিয়াল হল ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phooler Madhu)।
ঘরে ঘরে শাশুড়ি বৌমার মধ্যে হোক কিংবা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে যে ধরনের পারিবারিক অশান্তি দেখা যায় কিংবা খুঁটিনাটি যে সমস্ত বিষয় নিয়ে বাড়ির মেয়ে বৌদের যে ধরনের সমস্যার মুখে পড়তে হয় তেমনই সব ঘটনার টুকরো ছবি তুলে ধরা হয়েছে এই সিরিয়ালে। সম্প্রতি তেমনই এই ধারাবাহিক চলছে প্রচন্ড গরমে বাড়ির মেয়ে বউদের নাইটি পড়ার ট্র্যাক।
এক্ষেত্রে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন সৃজনের জেঠু। যিনি মনে করেন বাড়ির ছেলেরা গরমে হালকা পাতলা গেঞ্জি পড়ে ঘুরেবেড়ালে ঠিক আছে, কিন্তু শত কষ্ট হলেও বাড়ির মেয়েদের সারাক্ষণ শাড়ি কিংবা সালোয়ার-কামিজ পড়েই থাকতে হবে। কিন্তু শাড়ি পড়ে গরমের মধ্যে গায়ে ঘামাচি বেরিয়ে প্রচন্ড অস্বস্তির মধ্যে রয়েছেন বাড়ির বড় বৌমা অর্থাৎ সৃজনের জেঠি।
তাই জেঠির কষ্ট দূর করতে পর্ণা বাড়ির সবাইকে নাইটি পরার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু আগের দিন জেঠু সেই নাইটি আগুনে পুড়িয়ে দিতে গিয়েছিল। তবে পর্ণাও কম যায় না। তাই সেও বুদ্ধি করে জেঠুকে জব্দ করতে বাড়ির ছেলেদের সমস্ত ঢিলেঢালা পোশাক লুকিয়ে রেখে দেয়।
এরপর জেঠু সমেত বাড়ির সব ছেলেরা বাধ্য হয় মোটা পোশাক পরতে। আর এই ভাবেই বেকারদায় ফেলে জেঠুকে দিয়ে জেঠির নাইটি পড়ার অনুমতি আদায় করে নেয় পর্ণা। তাই প্রথমে কিছুতেই নিজের সংকোচ কাটিয়ে উঠতে না পারলেও পরে দত্ত বাড়ির প্রধান কর্ত্রী হেমনলিনী দেবী অর্থাৎ ঠাম্মি নিজে নাইটি পড়ে এসে সাহস যোগায় তাকে।
এরপর দেখা যায় ‘মানেটা কি’ জেঠুর মুখে জামা ঘষে দিয়ে সমস্ত সংকোচের বাঁধ ভেঙে নাইটি পরে বেরিয়ে আসে জেঠি। ধারাবাহিকের এই পর্ব দেখে সকলেই দত্ত বাড়ির বৌমা পর্ণার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। এমনই একজন নেটিজেন সোশ্যাল মিডিয়ায় পর্ণার প্রশংসা করে লিখেছেন ‘পর্ণা দত্ত বাড়ির মেয়ে, বৌদের নাইটি পরিয়ে ছাড়লো। জিতে গেলো পর্ণা। ঠাম্মি, জেঠি পরলো নাইটি। জেঠু শকড ঠাম্মি আর জেঠি রকড।’