শরীরী যখন আছে তখন শরীরের নানান সমস্যাও রয়েছে। প্রযুক্তি আর চিকিৎসাশাস্ত্রের উন্নতির কারণে আগের থেকে অনেক সহজেই ওষুধের মাধ্যমে যে কোনো রোগ সরিয়ে তোলা যায়। কিন্তু অনেক ছোটোখাটো রোগের ক্ষেত্রে ওষুধের জন্য পয়সা খরচ না করেই প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্যেই সুস্থ হয়ে ওঠা যায়। কি সেই প্রাকৃতিক উপাদান? সেটা হল আমার আপনার সকলেরই চান নিমপাতা (Neem)।
হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন, নিমপাতার মধ্যে রয়েছে বহু ঔষুধি গুণাবলী। বহু রোগ থেকে শুধুমাত্র নিমপাতা ব্যবহার করেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আজ বংট্রেন্ডের পেজে নিমপাতার সেই সমস্ত গুণাবলী সম্পর্কেই জানাবো।
- সর্দি কাশির সময় বুকের মধ্যে কফ জমলে নিমপাতার রস গরম জলে মিশিয়ে দিনে তিন থেকে চার খেলে কফের কারণে ব্যাথার উপশম হয়।
- ডায়াবেটিস রোগের ক্ষেত্রেও নিম পাতা খুবই উপকারী। রোজ সকালে খালি পেটে পাঁচটা গোলমরিচ ও 10 থেকে 15 টি নিমপাতা বেটে খেলে সেটা ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে।
- অনেকেরই মুখে ব্রনের সমস্যা থাকে এই ব্রণের সমস্যা মেটানোর জন্য নিম পাতা ব্যবহার করা যেতে পারে। বা আরো ভালোভাবে বলতে গেলে নিম তেল ব্যবহার মুখের ব্রণ হওয়ার সমস্যা থেকে বাঁচা যায়।
- গায়ে চুলকানি জাতীয় সমস্যা হলে সে ক্ষেত্রে নিমপাতা বেটে সেটাকে সেদ্ধ করার পর পাতাগুলো থেকে ফেলে দিয়ে নিমপাতা সেদ্ধ করা জলটি স্নানের জলে মিশিয়ে স্নান করলে চুলকানি ও খোস-পাচড়ার থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
- পেটের নানা রকম সমস্যার ক্ষেত্রে গরম জলের মধ্যে কয়েক ফোঁটা নিম পাতার রস খেলে সকাল বিকাল খাওয়ালে নানা ধরনের পেটের সমস্যায় উপশম পাওয়া যেতে পারে।
- নিম গাছের ডাল বা নিম গাছের ছাল গুঁড়ো করে তাতে ব্যবহার করলে বা দাঁত মাজলে দাঁত মজবুত হয়। এর পাশাপাশি দাঁতের নানান সমস্যার থেকে আগাম সুরক্ষা পাওয়া যেতে পারে।
- অতিরিক্ত চকলেট বা মিষ্টি জিনিস খাওয়ার ফলে শিশুদের পেটে কৃমি হয়। এক্ষেত্রে কৃমি নির্মূল করার জন্য নিম পাতার রস নিমপাতা হালকা সেদ্ধ করে কাঁচা খাওয়াতে পারলে কৃমি নির্মূল হয়ে যায়।