সম্প্রতি মুম্বাইয়ের মাদককাণ্ডে আরিয়ান খান (Aryan Khan) গ্রেফতার হওয়া নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে সর্বত্র। বিলাসবহুল ক্রুজ জাহাজে মাদক সেবন করে পার্টিতে মেতেছিল শাহরুখপুত্র। গান্ধী জয়ন্তী দিন রাত্রে এনসিবি হাতে ধরা পড়েছে আরিয়ান সহ আরও একাধিক। তদন্তে জানা গিয়েছে আরিয়ান খান এর বন্ধু আরবাজের কাছ থেকেই এসেছিল এই মাদক। এই অনুযায়ী ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরবাজ মার্চেন্টকে (Arbaaz Marchant)।
এদিন তাকে আদালতে পেশ করা হলে জামিনের আবেদন করেছে আরিয়ান খান ও আরবাজ মার্চেন্ট দুজনেই। যদিও কারোরই জামিন মঞ্জুর করা হয়নি। সুতরাং ৭ই অক্টোবর পর্যন্ত NCB হেফাজতেই থাকতে হচ্ছে তাদের। অবশ্য আরিয়ান, আরবাজের সাথে আরো একটি নাম বারেবারে উঠে এসেছে সেটি হল মুনমুন ধামেচা। পেশায় মডেল মুনমুন তার বিরুদ্ধেও মাদক সেবনের অভিযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি মাদক মামলায় একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে। NCB হেফাজতে থাকা আরবাজ জামিনের আবেদনের পাশাপাশি আদালতে ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজ চেক করার আবেদন করেছে। ২রা অক্টবর সকাল ১১.৩০ মিনিট থেকে রাত্রি ৮.৩০ পর্যন্ত ইন্টারন্যাশনাল টার্মিনাল, মুম্বাই এয়ারপোর্ট ট্রাস্ট এর সিসিটিভি ফুটেজ চেক করার আবেদন করেছে আরবাজ।
আরবাজের আবেদনে সারা দিয়ে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আর এম নাড়লেকার একটি নোটিশ জারি করেছেন NCB অধিকারীরকদের কাছে। আরবাজের মতে, ‘সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই বোঝা যাবে যে কোনো মাদক পাওয়া যায়নি। NCB নিজেই মাদক প্লান্ট করেছে ফাঁসানোর জন্য’। এই মর্মে তার ওপর মিথ্যে মামলা করা হয়েছে বলেও দাবি করেন আরবাজ।
আরবাজের মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর আবারো শুরু হয়েছে আলোচনা। তবে কি সত্যি ফাঁসানো হচ্ছে নির্দোষদের! নাকি বাঁচার জন্য মিথ্যে বলছে আরবাজ। NCB র জোনাল ডিরেক্টরকে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আদালতে এর যথাযথ উত্তর দেবে NCB। এখন অপেক্ষা মামলার আগামী শুনানি আর NCB এর উত্তরের।