সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই টালমাটাল অবস্থা বি-টাউনের। দীপিকা পাডুকোন, সারা আলী খান, শ্রদ্ধা কাপুর, রাকুল প্রীত সিংয়ের মত বড়সড় অভিনেত্রীর নাম জড়িয়ে গিয়েছে আগেই। সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী ড্রাগ কাণ্ডের ফাঁদে পড়ে ইতিমধ্যেই জেল হেফাজতে রয়েছেন। পুনরায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দৈনিক ভাস্করের একটি রিপোর্ট ঘিরে। বিবৃতি অনুযায়ী, ড্রাগ সরবরাহকারীরা আরও চার খ্যাতনামা অভিনেতার নাম নিয়েছেন। তাঁরা হলেন ডাইনো মোরিয়া, অর্জুন রামপাল, রণবীর কাপুর এবং তালিকার সর্ববৃহৎ নামটি হল শাহরুখ খান। জানা গিয়েছে, শাহরুখ খানের বাড়িতে ড্রাগ নিয়ে যেতেন স্বয়ং অর্জুন রামপাল।
দৈনিক ভাস্করের রিপোর্ট বলছে, নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো-র এক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অফিসার অভিনেতা ও ড্রাগ সরবরাহকারীদের সম্পর্কের ব্যাপারটি খোলসা করেন। রিপোর্ট মোতাবেক অফিসার ও সাংবাদিকের কথোপকথন সংক্ষিপ্তভাবে তুলে দেওয়া হল।
প্রশ্ন : এনসিবিকে এই সব নাম কে জানাল?
অফিসারের উত্তর : ড্রাগ সরবরাহকারীরা কিছু ফর্মুলা ব্যবহার করে। তারা জানিয়েছে যে অর্জুন রামপাল শাহরুখ খানের বাড়িতে ড্রাগ নিয়ে যেত। আমরা এখন শুধু উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণের অপেক্ষা করছি।
প্রশ্ন : ডাইনো মোরিয়া কাকে সরবরাহ করতেন?
অফিসারের উত্তর : এটা সরবরাহকারীদের কাছ থেকে জানার চেষ্টা চলছে।
প্রশ্ন : এনসিবি কবে তলব করবে এনাদের?
অফিসারের উত্তর : এই কেসে তলবের কোনো ব্যাপার নেই। উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ পেলেই অভিযুক্তকে তুলে আনা হবে।
প্রশ্ন : দীপিকা, সারা ও শ্রদ্ধার ব্যাপারে কিছু জানাতে পারেন?
অফিসারের উত্তর : এখনও পর্যন্ত সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য নেই। তবে আমরা অন্যদিকে বেশ খানিকটা এগিয়েছি।
প্রশ্ন : এখনও পর্যন্ত উঠে আসা নামগুলির মধ্যে শাহরুখ খানের নামটিই বেশ বৃহৎ। এ বিষয়ে আপনারা কোনো বিশেষ পদক্ষেপের কথা ভাবছেন কি?
অফিসারের উত্তর : এনসিবির কাছে আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা দপ্তরের তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। আমরা শীঘ্রই খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেব।
ইতিপূর্বে দীপিকা পাডুকোনের ব্যাপারে এক এনসিবি কর্তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি সাবধানে প্রশ্নটি এড়িয়ে যান। ওই কর্তা জানিয়েছিলেন যে দীপিকার সহকর্মীরা কেউই হয়তো ড্রাগকাণ্ডে যুক্ত হন। কিন্তু বর্তমানের তথ্য বলছে সম্পূর্ণ বিপরীত কথা। এখন আগামীদিনে এ বিষয়ে জল আর কতদূর গড়ায়, তারই অপেক্ষায় শঙ্কিত বলিপাড়া।