বলিউডের নামী অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের (Sushant Singh Rajput) মৃত্যু হয়েছে ২ বছর হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও সেই মৃত্যু রহস্য সমাধান হয়নি। বরং সময়ের সঙ্গে তা যেন আরও জটিল হয়েছে। সম্প্রতি যেমন এনসিবির (NCB) ড্রাফট চার্জে উল্লিখিত তথ্য থেকে সেই রহস্য আরও ঘনীভূত হয়েছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফ থেকে যেমন বলা হয়েছে, সুশান্ত নাকি স্বেচ্ছায় মাদক নিতে চাননি, রিয়া চক্রবর্তী-সহ (Rhea Chakraborty) ৩৫ জন অপরাধী তাঁকে মাদক নেওয়ার জন্য উস্কেছিল।
এনসিবির রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে সুশান্তকে মাদকের সরবরাহ করা হচ্ছিল। ২০২০ সাল থেকে অভিনেতার জন্য মাদক কিনতেন তাঁর ফ্ল্যাটমেট সিদ্ধার্থ পিঠানি। শুধু তাই নয়, সকল অপরাধীরা ষড়যন্ত্র এবং বলিউডের ‘হাই সোসাইটি’তে মাদক সরবরাহ করতেন বলেও জানা গিয়েছে।
সুশান্ত মৃত্যু পরবর্তী মাদক মামলায় এনসিবি ৩৫জন অপরাধীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন চার্জ লাগিয়ে রিপোর্ট পেশ করেছে। অপরাধীদের নামের তালিকায় অভিনেতার তৎকালীন প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী, তাঁর ভাই শৌভিক চক্রবর্তী এবং তাঁর দুই কর্মচারীর নাম রয়েছে। এঁদের বিরুদ্ধে অভিনেতার জন্য মাদক কেনার চার্জ লাগানো হয়েছে।
এনসিবির দাবি, ২০১৮ সাল থেকে অভিনেতা নিজের কর্মচারী-সহ বিভিন্ন সূত্র থেকে নিয়মিতভাবে মাদক কিনতেন। কিন্তু ২০২০ সালে কেন্দ্রীয় সংস্থা দাবি করেছিল অভিনেতাকে মাদক সরবরাহ তাঁর কিংবা রিয়ার কথায় করা হচ্ছিল। শুধু তাই নয়, সিদ্ধার্থ নাকি পূজার সামগ্রী কেনার নাম করে সুশান্তের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেও মাদক কিনতেন।
বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, এনসিবি নাকি এও দাবি করেছে যে, অভিনেতা অর্জুন রামপালের প্রেমিকার ভাই গিসিলাস ডেমেট্রিয়ডস বলিউডে নাকি বহুবার মাদক সার্কুলেট করেছেন। কিন্তু কোন কোন তারকাকে সরবরাহ করা হয়েছে তা অবশ্য জানানো হয়নি। উল্লেখ্য, এনসিবি অপরাধীদের বিরুদ্ধে এনডিপিএস অধিনিয়মের বিভিন্ন ধারার মাধ্যমে আরোপিত করছে। মাদক সেবন, বিক্রি, সরবরাহ, ট্রান্সপোর্ট, অপরাধীদের আশ্রয় দিলে, মাদক নেওয়ার জন্য উস্কানোর সঙ্গে এই ধারা যুক্ত।