মানুষের ছাদে প্রথম পা পড়ার পর থেকে আজ অবধি বহুবার চাঁদে গেছে বহু মহাকাশযান। তবে মানুষ কিন্তু আশা ছাড়েনি, মানুষ চায় চাঁদে গিয়ে বসতি গড়ে তুলতে। ঠিক কবে যে মানুষ চাঁদে গিয়ে বসতি বানাতে পারবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে চেষ্টায় কোনো ত্রুটি রাখেনি মার্কিন গবেষণা সংস্থা নাসা ( Nasa )।
কিন্তু , ধরুন যদি চাঁদের মাটিতে না পৌঁছাতে পারলেও যদি উন্নত টেকনোলজির মাধ্যমে চাঁদের মাটিতে পা রাখার মত সেলফি আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে চান! চাঁদে নেই কোনো টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা। তবে এই স্বপ্ন সত্যি হতে হয়তো বেশি দেরি নেই, হ্যাঁ ঠিকই পড়ছেন।
সম্প্রতি নোকিয়া ( Nokia ) কোম্পানির সাথে হাত মিলিয়েছে NASA যাতে চাঁদে মিলতে পারে 4 G পরিষেবা। তারা চায় চাঁদের মাটিতে 4 G এর মত উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করতে। আসলে ঘটনা হল নাসা সম্প্রতি একটি মিশন শুরু করেছে যার নাম “আর্টেমিস ( Artemis )”। এই মিশনে নাসার সাথে ১৪ টি বহুজাতিক সংস্থা কাজ করছে। যাদের মধ্যে একজন হল নোকিয়া। চাঁদের মাটিতেমিশন আর্টেমিসের জন্য বরাদ্দ ঠিক করা হয়েছে ৩৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যার মধ্যে নোকিয়া দিয়েছে ১৪.১ মিলিয়ন ডলার। আগামী কয়েক দশকের মধ্যে মানুষ যাতে চাঁদে স্বাছন্দে যাতায়াত করতে পারে তার জন্য এই এত ব্যয়বহুল মিশনটি সম্পন্ন করা হচ্ছে।
এছাড়াও যেটা জানা যাচ্ছে নাসা এই মিস্সনের জন্য ধার্য নগদের বেশিরভাগই খরচ করবে Space X, ও ULA এর মতো ছোট ছোট সংস্থার উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ক্রায়োজেনিক ফ্লুইড ম্যানেজমেন্ট তৈরিতে ব্যবহার হবে মূলত। তবে আশ্চর্যের বিষয় জল এই প্রথম নয়, এর আগে ২০১৮ সালে নোকিয়াই ভোডাফোন কোম্পানির সাথে এই মর্মে চুক্তিবদ্ধ হয়। নোকিয়া নিজে ২০১৮ সালে ভোডাফোন জার্মানির সাথে চুক্তি পথ হয়। ও বলেন তারা নাকি ২০১৯ এর মধ্যেই চাঁদে 4 G পরিষেবা দিতে সক্ষম হবেন। যদিও সে কাজ আজ শেষ হয়ে উঠতে পারবে না।