বলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা নানা পাটেকার (Nana Patekar)। তার অভিনয় দক্ষতা সম্পর্কে কোন কথা বলাই চলে না। নিজের দুর্দান্ত অভিনয় দিয়ে লক্ষ লক্ষ দর্শকদের হৃদয় জিতে নিয়েছেন অভিনেতা। নিজের অভিনয়ের কারণে একাধিকবার সম্মানিতও হয়েছেন জাতীয় পুরস্কারে। তবে নানা পাটেকারের জীবনেও রয়েছে কিছু কান্ড, যে কারণে লজ্জায় পরে গিয়েছিলেন অভিনেতা।
অতি সাধারণ থেকেই আজ বলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা হয়েছেন নানা পাটেকর। তবে শুরুটা এমন ছিল না। শুরুতে থিয়েটার করতেন অভিনেতা। কেরিয়ারের শুরুতেই বিয়েও ফেলেছিলেন। থিয়েটারেরই এক শিল্পী নীলু তথা নীলকান্তি পাটেকরকে বিয়ে করেন অভিনেতা। সেই সময় তাঁর যায় বলতে ছিল মাত্র ৫০ টাকা একটি থিয়েটার পিছু। যেটা মেরেকেটে মাসে ৭৫০ টাকা পর্যন্ত হত।
নিজের বিয়ের জন্যও মাত্র ৭৫০ টাকাই খরচ করেছিলেন অভিনেতা। যেখানে স্ত্রী নীলুর মাসিক উপার্জন ছিল ২৫০০ টাকা। যদিও প্রথমে টাকার কারণে সম্পর্কে কোনো অসুবিধে হয়নি। নীলু পিলগাঁওকরের মারাঠি ছবি ‘আত্মবিশ্বাস’ এ অভিনয়ের জন্য ব্যাপক জনপ্রিয়তার পাশাপাশি সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কারও পেয়েছিলেন। কিন্তু এরপর ধীরে ধীরে ওজন বাড়তে থাকে অভিনেত্রীর এবং নিজেকে ফিট না রাখতে পারে ধীরে ধীরে অভিনয় জগৎ থেকে তিনি দূরে সরে যান।
কেরিয়ারের শুরুতেই প্রেম করে বিয়ে করলেও বলিউডে এসে আবারো প্রেমে পড়েন নানা পাটেকর। ‘খামোশি’ ছবি করার সময় অভিনেত্রী মনীষা কৈরালার প্রেমে পড়েন অভিনেতা। বয়সে নানা পাটেকারের থেকে ২১ বছরের ছোট ছিলেন মনীষা। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রেমে চলেছিল, এমনকি মনীষাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন তিনি। একসময় নানা পাটেকর ও মনীষা কৈরালার প্রেমের সম্পর্কের কথা স্ত্রী নীলুর কানে পৌঁছায়। স্বামীর অন্য নারীর সাথে সম্পর্কের কথা জানতে পেরে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন স্ত্রী নীলু।
এই সুযোগে মনীষা চেয়েছিলেন অভিনেতাকে বিয়ে করতে কিন্তু ততদিনে অন্য এক অভিনেত্রীর প্রেমে পরে গিয়েছেন নানা পাটেকর। ২০০৩ সালের নিজের থেকে ২৪ বছরের ছোট আয়েশা জুলকার সাথে প্রেম করছিলেন অভিনেতা। মনীষা ও আয়েশা দুজনের সাথে প্রেমের চক্কর চলছিল অভিনেতার। তবে একদিন মনীষা নানা পাটকরকে আয়েশার সাথে এক ঘরে দেখে ফেলে। এরপর তাদের প্রেমের ইতি হয়ে যায়, মনীষা তাকে ছেড়ে চলে যায়।