বাংলা বিনোদন জগতের অন্যতম অঙ্গ হল সিরিয়াল। তাই বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হতেই সমস্ত কাজ সেরে টিভির রিমোর্ট নিয়ে সবাই মিলে বসে পড়েন টিভির সামনে। পছন্দের তারকাদের টিভির পর্দায় না দেখা অবধি গোটা দিনটাই অসম্পূর্ণ থেকে যায় দর্শকদের । সকলের অত্যন্ত পছন্দের এমনই একটি জনপ্রিয় মেগা সিরিয়াল হল ‘মহাপীঠ তারাপীঠ।’
এই ধারাবাহিকের একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হল ‘মা তারার’ (Ma Tara) চরিত্র। দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে এই চরিত্রে অভিনয় করে চলেছেন নবনীতা দাস (Nabanita Das)। ২০১৯-এর ২ জানুয়ারি, ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’ (Mahapith Tarapith) ধারাবাহিকের জন্য প্রথম শট দিয়েছিলেন নবনীতা। সেই থেকে টিভির পর্দায় শুরু হয়েছে ‘মা তারা’ হিসেবে তাঁর জার্নি। সিরিয়ালে মা তারার চরিত্রে অভিনয় করার সাথে অভিনেত্রীর ব্যাক্তিগত জীবনেও এসেছে আমূল পরিবর্তন।
সংবাদমাধ্যমে সেকথা জানিয়ে তিনি বলেন ‘এই চরিত্রে অভিনয় করতে শুরু করার পর আমার জীবনে বেশ কিছু বদল এসেছে। ওই বছর জানুয়ারি থেকেই রেজোলিউশন নিয়েছিলাম। রুটিনে বেঁধে ফেলেছিলাম নিজেকে। ঠিক সময়ে খাওয়া, ঘুম, মেডিটেশন। এই সিরিয়াল শুরুর আগেই জীতুর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল। তারপর বিয়ে করলাম আমরা। ফলে মা তারার চরিত্র আমাকে পজিটিভ ভাবে বদলে দিয়েছে।’
জি বাংলার পর্দায় ‘দ্বীপ জ্বেলে যাই’ দিয়েই অভিনয় জগতে হাতেখড়ি হয় নবনীতা। এই সিরিয়ালে দিয়ার চরিত্রে সকলের মন জিতে নিয়েছিলেন অভিনেত্রী৷ এরপর স্টার জলসায় ‘অর্ধাঙ্গিনী’ সিরিয়ালে অভিনয় করেন তিনি। ভূগোলে স্নাতক পাশ করে, অভিনেত্রী টেলিপাড়ারই জনপ্রিয় অভিনেতা জিতু কমলের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এদিন দর্শকদের সাথে মা তারার চরিত্রে অভিনয় করার অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিয়ে নবনীতা জানান তিনি শুভ বা পজিটিভ শক্তিতে বিশ্বাসী।
এপ্রসঙ্গে প্রোমো শুটের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে তিনি বলেন ‘প্রোমো শুটের জন্য শান্তিনিকেতনেরও ভিতরে একটা গ্রামে গিয়েছিলাম আমরা। পাতা উড়িয়ে, ফ্যান চালিয়ে যেমন ভাবে শুটিং হয়, হয়েছিল, কিন্তু তখন থেকেই পজিটিভিটি ফিল করেছিলাম।’ এছাড়া অভিনেত্রী জানান ‘ মা তারার ডায়লগ পড়ার সময় ওই গলাটাই ব্যবহার করি। সব মিলিয়ে এই চরিত্র আমাকে অনেক পজিটিভিটি দিয়েছে।’