মহানায়ক উত্তম কুমারের (Uttam kumar) এর সাথে একাধিক হিট ছবি উপহার দিয়ে আজও টলিউডের মহানায়িকা হিসেবে নাম উঠে আসে অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনেরই (Suchitra sen)। আর সুচিত্রার সেই সৌন্দর্য পরবর্তীতে আমরা খুঁজে পেয়েছি তাঁর কন্যা মুনমুন সেনের (Munmun sen) মধ্যে দিয়েই। ১৯৮০ থেকে ১৯৯০-র সময় বলিউড, টলিউড থেকে দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি তিনি কাঁপিয়েছেন নিজের হটনেসে।
আর সবার থেকে বরাবরই তিনি আলাদা। ভাঙা ভাঙা বাংলায় ইংরেজির টান, উচ্চারণে নিজস্ব ভঙ্গি, গ্ল্যামারাস ব্যক্তিত্বের জোরে ষাটোর্ধ্ব বয়সেও তিনি এভারগ্রীণ। রাজনীতির ময়দানেও নিজস্ব পরিচয় তৈরি করেছেন সুচিত্রা কন্যা। একটা সময় ছিল যখন মুনমুনের হটনেসে ঘুম উড়তো ৮ থেকে ৮০ এর। তার কন্যা রাইমা সেনকেও তার যৌবনকালের উত্তাপ কয়েক গোল দিতে পারে।
অভিনয়ে কোনো কালেই মা সুচিত্রা সেন কিংবা কন্যা রাইমা সেনকে টেক্কা দিতে পারেননি মুনমুন, কিন্তু হটনেসে তিনি কিন্তু ছিলেন আট্যোম ব্যোম। মুনমুন সেন শিলংয়ের লোরেটো কনভেন্টে পড়াশোনা করেন। ইংরেজি সাহিত্যে তাঁর আগ্রহ সবসময়ই বেশি।
তার কথার ভঙ্গিতেও সেই ছাপ স্পষ্ট। যাদবপুর ইউনিভার্সিটি থেকে কমপারেটিভ লিটেরেচারে এমএ করেন তিনি। বিখ্যাত চিত্রশিল্পী যামিনী রায়ের কাছে আঁকাও শিখেছিলেন সুচিত্রা কন্যা।
১৯৭৮ সালে দেব বর্মাকে বিয়ে করেন মুনমুন। এরপর তিনি জন্ম দেন টলিউডের আরও দুই মোহময়ী অভিনেত্রী রিয়া এবং রাইমা সেনের। এরপর তিনি পা রাখেন বলিউডে ।
১৯৮৪তে হিন্দিতে রিলিজ হয়েছিল মুনমুন সেন অভিনীত ছবি ‘আন্দার বাহার’। তার আগে তিনি বাংলায় কয়েকটি ছবি করেছিলেন যেমন, ‘রাজবধু’, ‘রাজেশ্বরী’ নামের দুটি ছবি।
তবে শুধু হিন্দি বা বাংলায় নয় তেলেগু, মালায়াম, তামিল ও ইংরেজি ভাষাতেও মুনমুন সেন ছবি করেছেন। মায়ের সঙ্গে ছোটবেলা থেকেই সিনেমার সেটে যেতেন মুনমুন। সেই থেকেই শুরু। এরপর নিজ দক্ষতাতেই টলিউডে নিজের জায়গা পাকা করেছিলেন অভিনেত্রী।