সুশান্ত সিং রহস্যমৃত্যুর তদন্ত চলাকালীন মুম্বাই পুলিশের ফরেন্সিক ল্যাবের রিপোর্টের কিছু অংশ বিভ্রান্তের সৃষ্টি করছে। যেমনটা জানা যাচ্ছে, সুশান্তের ময়না তদন্ত ও ভিসেরার প্রতিবেদন সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে মুম্বাইয়ের ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (F.S.L.) সুশান্তের ড্রাগ টেস্টই করেনি।
মুম্বাই পুলিশের ফরেন্সিক ল্যাবের এই রিপোর্ট নিয়ে শুরু হয়েছে এক বিরাট বিভ্রান্তির। সূত্রের দাবি, মুম্বাই এফ এস এল সুশান্ত মাদক নিত কিনা কেন তা তদন্ত করেনি? ১৪ জুন মারা যান অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপূত। গত ১লা জুলাই তার ভিসেরা রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। যেখানে তিনি কোনো সন্দেহজনক রাসায়নিক বা বিষ জাতীয় কিছু যে সুশান্ত খাননি তা বলে হয়েছিল। সাথে আরো বলা হয় ফাঁসির কারণে অভিনেতার মৃত্যুর কারণ “অ্যাসিফিক্সিয়া” নাম উল্লিখিত ছিল।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে কোনোরকম হাতাহাতি বা লড়াইয়ের সম্ভাবনা মেলেনি জানানো হয়। আরো জানানো হয় যে সুশান্তের নখের নিচেও কোনো সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে ডঃ সুধীর গুপ্তের নির্দেশে সরব হয়েছেন AIIMS এর ডাক্তাররা। যার পরেই সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেষ্টিগেশন (CBI) মুম্বাই পুলিশের ফরেন্সিক ল্যাবের ভূমিকা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে।
প্রসঙ্গত AIIMS এর রিপোর্ট অনুযায়ী ,সুশান্তের মৃত্যুর জন্য দেহে কোনো জৈব বিষের উপস্থিতি মেলেনি। তাছাড়াও মুম্বাইয়ের যে হাসপাতালে সুশান্তের ময়না তদন্ত হয়, সেখানে কোনো স্টেকহোল্ডারকেই ছেড়ে দেওয়া হয়নি।প্রথম পর্যায়ের রিপোর্টে সুশান্তের আত্মহত্যা থিওরির বিপরীতে প্রমান ও সাক্ষী অনুসারে চূড়ান্ত পর্যবেক্ষণগুলি CBI এর রিপোর্টার পরিপন্থী নয়।
অনেকের মতে, AIIMSএর প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী সিবিআই এই মেডিকেল অনুসন্ধানগুলিকে মতামত হিসাবে ধরবে। এছাড়াও সিবিআই এর মতে কোনো ধারণাই উড়িয়ে দেওয়া হয়নি। প্রতিটি দিক দেখা হচ্ছে। সম্ভবত এই সপ্তাহের শেষেই AIIMSএর প্রকাশিত প্রতিবেদনের শেষ সিধানগুলি বিবেচনা করে দ্বিতীয় স্তরের তদন্ত শুরু হবে।