এই দেশের সর্বাধিক ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)। আর স্বামী কোটিপতি হওয়ায় স্ত্রী নীতা আম্বানিও (Neeta Ambani) বেশ পরিচিত সকলের কাছেই। ‘ধীরুভাই আম্বানি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল’, রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন, সহ রিলায়েন্সের একাধিক দায়ভার একা হাতে সামলান তিনি। বর্তমানে সারা বিশ্বের নিরিখে ১২ তম ধনীর স্থানে রয়েছে আম্বানি পরিবার। বর্তমানে তাদের সম্পত্তির পরিমাণ ৮২.৯ বিলিয়ন।
১৯৮৫ সালে মুকেশ আম্বানির সাত বিয়ে হয় নীতা আম্বানির। ভারতের সবচেয়ে ধনী পরিবারে বিয়ের হবার কারণে ধন দৌলত, আভিজাত্যের কোনো অভাবই নেই না তাঁর। মুকেশ আম্বানির থেকেও তার স্ত্রী নিতা আম্বানির বিলাসবহুল ঠাঁট বাট আর জীবন যাপনের জন্য প্রায়শই তিনি খবরে থাকেন। যেমন টাকা আছে তেমনই ভোগও করেন নীতা। যত দামি দামি জিনিস বিশ্বে রয়েছে সবই প্রায় তার ব্যবহার করে দেখা সারা।
আম্বানি পরিবারের রানীর যে সোনা, দানা, হীরে মাণিকের অভাব নেই তা বলাই বাহুল্য। তার আলমারির সোনা,হীরে, শাড়ির কালেকশন দেখলে আপনি ভিরমি খেতে পারেন। সেই একেকটা চোখ ধাঁধানো গয়না তিনি একবারের বেশি দুবার নাকি পরেন না। এদিকে তাঁর জিম্মায় কয়েক লাখ টাকার শাড়ি রয়েছে। ছেলের বিয়ের সময় নীতা যেই শাড়িটি পরেছিলেন তার দাম প্রায় ৪০ লাখ টাকা।
এছাড়াও নীতা আম্বানি যেই পানীয় জল খান তা আসে সুদূর ফ্রান্স থেকে। সোনার বোতালে স্বর্ণভস্ম মেশানো এই জলের বোতলের দাম হিসেব করে দেখলে দাঁড়ায় ৭৫০ মিলিলিটারের দাম প্রায় ৬০ হাজার ডলার। যা ভারতীয় মুদ্রায় ৪৪ লক্ষ টাকারও বেশি।
তবে সবচেয়ে অবাক হবেন এটা জানলে যে নীতা আম্বানি যেই পোশাক একবার পরেন, সেটা আর দ্বিতীয় বার গায়ে তোলেন না। যে যত কোটি টাকা দামেরই পোশাক হোক না কেন একবারের বেশি এক ব্যাগ, জুতো, শাড়ি বা ড্রেস কিছুই তিনি পরেন না। কেননা সবসময়ই তিনি তার ফ্যাশন সেন্সের জন্যেও প্রশংসিত হন, তাই এক ড্রেসে দুবার ছবি উঠে যাক তিনি চাননা। তবেই ভাবুন পয়সা থাকলে মানুষ কত কীই না করতে পারে।