ভারতীয় বাংলা ছবির জগতে যে সমস্ত উজ্জ্বল নক্ষত্রদের অবদান রয়েছে সিংহভাগ তাদের মধ্যেই একজন হলেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় (Sabitri Chaterjee)। দশকের পর দশক ধরে অভিনয়ের সাথে যুক্ত রয়েছেন অভিনেত্রী। পঞ্চাশের দশক থেকে শুরু হয়েছিল তার অভিনয় জীবন সেই থেকে অর্ধশতাব্দী পেরিয়ে আজও অভিনয়ে দক্ষ সাবিত্রীদেবী। এখনো তার অভিনয়ের দক্ষতা দর্শকদের মুগ্ধ করতে বাধ্য।
নিজের অভিনয় জীবনে একাধিক অসামান্য ব্যক্তিত্বদের সাথে কাজ করেছেন অভিনেত্রী। উত্তম কুমার থেকে শুরু করে সৌমিত্র চ্যাটার্জী একাধিক অভিনেতাদের সাথে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। যাদের সম্পর্কে শুধু গল্পই শুনতে পারে আজকের প্রজন্মের নায়ক নায়িকারা। এমনকি আজ বয়স আশির কোটা পেরোলেও অভিনয়ের সুযোগ পেলে না করেন না অভিনেত্রী।
সাবিত্রী চ্যাটার্জীর মত একজন অভিনেত্রীর সাথে কাজ করার জন্য মুকিয়ে থাকেন এযুগের অভিনেতা অভিনেত্রীরা। আর অভিনেত্রী ময়না মুখার্জী (Moyna Mukherjee) হলেন সেই সৌভাগ্যবানদের মধ্যে একজন যিনি একাধিকবার সাবিত্রী চ্যাটার্জীর সাথে কাজের সুযোগ পেয়েছেন। ১৯৯৮ সালে ‘পৌষ ফাগুনের পালা’ নামের সিরিয়ালের একত্রে অভিনয় করেছিলেন সাবিত্রী ও ময়না। ৯০ এর দশকে সাবিত্রীর মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ময়না। আজ তিনি ধুলোকণা সিরিয়ালে বৌমার চরিত্রে অভিনয় করছেন।
সম্প্রতি সাবিত্রী চ্যাটার্জীর সাথে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে বেশ কিছু কথা শেয়ার করেছেন অভিনেত্র্রী। ময়না মুখার্জীর মতে, সাবুদি নামেই সাবিত্রী চ্যাটার্জিকে ডাকতে অভ্যস্ত সকলে। ওনার সাথে কাজ মানে অনেক কিছুই শেখার থাকে। এই বয়সেও যেমন দুর্দান্ত অভিনয় তেমনি তার পারফর্মেন্স। যেখানে অনেক অভিনেতা অভিনেত্রীদেরকেই চোখে জল আনার জন্য গ্লিসারিনের সাহায্য নিতে হয়, সেখানে তিনি স্বাভাবিকভাবেই চোখে জল আনেন। তাছাড়া কান্নার সময় গলা কাঁপিয়ে কথা বলাতেও অতুলনীয় সাবিত্রী চ্যাটার্জী’।
এরপর অভিনেত্রী আরো জানান, সাবিত্রী চ্যাটার্জী নিজেই একটা জীবন্ত ইতিহাস। তাই কাজের ফাঁকে সেযুগের নানান গল্প শুনতেও দারুন লাগে। কিভাবে হত পুরোনো দিনের শুটিং তাছাড়া কিংবদন্তি সমস্ত অভিনেতাদের সাথে কাজের অনুভুতিই বা কেমন ছিল সে সম্পর্কেও অনেক গল্প থাকে সাবুদির ঝুলিতে যা চিরকালই শ্রুতিমধুর। সাবুদির সাথে আবারো কাজের সুযোগ করিয়ে দেবার জন্য ধূলোকণা সিরিয়ালের লেখিকা লীনা গাঙ্গুলিকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন ময়না মুখার্জী।
কারণ তিনি না চাইলে তো আর সিরিয়ালের সাবুদির সাথে একসাথে কাজের সুযোগটা হাতছাড়া হয়ে যেত। এছাড়াও, দীর্ঘদিন ঘরে নানা সিরিয়ালে ভালো চরিত্র অর্থাৎ পজিটিভ চরিত্রেই অভিনয় করে আসছেন ময়না। তবে এবারে একটা নেগেটিভ চরিত্র মিলেছে। যার ফলে যেমন বৈচিত্র এসেছে অভিনয়ে তেমনি কাজের ইচ্ছাটাও আরো বেড়ে গিয়েছে।