• Srabanti Chatterjee Viral Video শ্রাবন্তী
  • অনুরাগের ছোঁয়াঅনুরাগের ছোঁয়া
  • নুসরত জাহান নুসরত
  • ফুলকিফুলকি
  • শুভশ্রীশুভশ্রী
  • ইচ্ছে পুতুলইচ্ছে পুতুল
  • নিম ফুলের মধুনিম ফুলের মধু
  • কার কাছে কইকার কাছে কই

হাতে রয়েছে দু’দিনের ছুটি! কম খরচে বেরিয়ে আসুন মৌসুনি দ্বীপে, রইল খুটিনাটি

মৌসুনি আইল্যান্ড একটি নির্জন নিরিবিলি দ্বীপ যা কলকাতা থেকে ১১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। তিনদিকে চেনাই নদী আর একদিকে সাগরের মোহনা। এখানে সমুদ্র কিন্তু শান্ত। জোয়ারের সময় জল আসে এবং ভাঁটায় জল সরে যায় বহু দূরে। মাছ ধরায় প্রধানত প্রধান জীবিকা। যাদের হাতে ছুটি সময় কম, সপ্তাহে একদিন মাত্র অফিস ছুটি কিম্বা মৌসুনি দ্বীপে ক্যাম্পে রাত্রিবাস করতে চান না কিম্বা ডে ট্রিপার যারা তাদের জন্য এক অন্যরকম প্ল্যান সারাদিন (সকাল থেকে বিকেল) মৌসুনি আইল্যান্ড এক্সপ্লোর করার।

মৌসুনি দ্বীপের প্রধান আকর্ষণ

   

প্রকৃতি, সমুদ্র সৈকতই কিন্তু মৌসুনি দ্বীপের এক এবং একমাত্র আকর্ষণ। আলাদা করে মৌসুনি দ্বীপে কোনো সাইটসিন নেই। দিনের বিভিন্ন সময়ে সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন রূপ উপভোগ করা, সমুদ্র সৈকত এক্সপ্লোর করা এবং ঘন্টার পর ঘন্টা সমুদ্র স্নান – এইটাই হলো মৌসুনি দ্বীপের বিশেষ আকর্ষণ।

গঙ্গাসাগর মোহনার নিকটবর্তী হওয়ায় মৌসুনি আইল্যান্ডে জোয়ারের সময় ও ঢেউ খুব বেশি নয়। জোয়ারের সময় স্নানের জন্য অসাধারন এক সমুদ্র সৈকত। ঢেউ বেশী থাকে না, মোহনার কাছে সমুদ্র। বালি মিহি, সারাগায়ে বালি হয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আর বিচটাও সমান, কোনোরকম দুর্ঘটনার ভয় থাকে না। এককথায় সমুদ্র স্নানের জন্য আদর্শ বিচ।

মৌসুনি দ্বীপ,নামখানা,পশ্চিমবঙ্গ,Mousuni island,Namkhana,West bengal

কিভাবে যাবেন মৌসুনি দ্বীপে

শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় ভোর চারটায় প্রথম ট্রেন (লক্ষ্মীকান্তপুর হয়ে নামখানা যায়) ধরে সকাল সাতটায় নামখানা স্টেশনে পৌঁছান। ট্রেনেই ঘুমিয়ে নেবেন। সকাল সাতটায় নামখানা স্টেশনে নেমে ম্যাজিক ভ্যান সহযোগে দুর্গাপুর-বাগডাঙ্গা ঘাট কিম্বা হুজ্জুতি ঘাট এসে চেনাই নদী পেরিয়ে টোটো সহযোগে মৌসুনি দ্বীপে পৌঁছানো যায়। এরপর সারাদিন মৌসুনি দ্বীপ এক্সপ্লোর, স্নান। বাথরুম, বিশ্রাম, দুপুরের খাওয়ার জন্য গ্রামের লোকাল লোক যারা নিজেরাই অনেক ক্যাম্পের মালিক বা এবং বাকি ক্যাম্পের কেয়ারটেকার ম্যানেজার তাদের অতিথি হোন। খুব সামান্য টাকার বিনিময়ে তারা আপনার প্রয়োজনীয়তা পূরণ করবে। খুবই ভালো এবং হেল্পফুল তাদের ব্যবহার। সারাদিন সমুদ্র স্নান, বিচ এক্সপ্লোর করুন। জেলে নৌকার সাহায্যে একটু ঘুরেও আসতে পারেন। দুপুরের খাওয়া দাওয়া জমকালো। ভাত, ডাল, দুরকম তরকারী, ভাজা, টাটকা মাছের ঝোল, চাটনী ইত্যাদি খেয়ে আবার একটু রেস্ট নিন। বিকেল সাড়ে তিনটে/চারটে নাগাদ মৌসুনি দ্বীপকে বিদায় জানিয়ে একই রুটে ডে ট্রিপার রা কলকাতা ফিরে আসুন। নামখানা থেকে ৭:৪০ এর ট্রেন। আর যদি হাতে সময় থাকে তাহলে নামখানা এসে বকখালী যাওয়ার ম্যাজিক গাড়ী ধরে নামখানা থেকে ৩০ কিমি দূরে বকখালী চলে আসে রাতে হোটেল নিয়ে পরদিন বকখালী, হেনরি আইল্যান্ড ঘুরে নিন। ইচ্ছে করলে লঞ্চের সময় দেখে গঙ্গাসাগরও যেতে পারেন। প্রকৃতপক্ষে মৌসুনি দ্বীপে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পুরো সময় কাটালেই এক্সপ্লোর করা যায়।

মৌসুনি দ্বীপ,নামখানা,পশ্চিমবঙ্গ,Mousuni island,Namkhana,West bengal

মৌসুনি দ্বীপে কোথায় থাকবেন

মৌসুনি দ্বীপ এখন আর একটা তাজপুর বা মন্দারমনি হয়ে উঠেছে। বিখ্যাত হয়ে ওঠার সাথে সাথে প্রতিদিনই নতুন নতুন ক্যাম্প গড়ে উঠছে। প্রাকৃতিক কারণে এখানে হোটেল করার অনুমতি নেই, তাই ক্যাম্প গুলোতে থাকার ব্যবস্থা বলতে তাঁবু, মাড হাউস, আর ছোট ছোট কটেজ। থাকা খাওয়া সমেত একদিনের তাঁবুর খরচ ১২০০/-, কটেজ আর মাড হাউসের খরচ ১৪০০/-।

বর্তমানে প্রায় গোটা কুড়িটা ক্যাম্প সমুদ্র সৈকতে এক কিমির মধ্যে পাশাপাশি গড়ে উঠেছে। আরো অনেক ক্যাম্প গড়ে তোলার কাজ চলছে। বেশীর ভাগ ক্যাম্প গুলোর মালিক কলকাতা বেস বলে আগে থেকে প্রিবুকিং করে যেতে হয়। ১০০০/- থেকে -১৪০০/- টাকা/প্রতিদিন/প্রতিদিন হিসেবে খরচ পড়ে। ক্যাম্পগুলোর দেখভাল গ্রামের লোকাল লোকজনই করে। তারাই কেয়ারটেকার কাম ম্যানেজার। বর্তমানে তারা (গ্রামের লোকাল লোকেরা) নিজেরাই ক্যাম্প গড়ে তুলছে। মৌসুনিতে বর্তমানে এতোই ক্যাম্প গড়ে উঠেছে গিয়েও গ্রামের লোকেদের বললে ক্যাম্প পাওয়া যায়। আবার প্রিবুকিং করেও যেতে পারেন। মৌসুনি আইল্যান্ড বলে গুগুল বা ফেসবুক সার্চ করলেই জনপ্রিয় ক্যাম্পের হদিস পাওয়া যায়।