কারিনা কাপুর খান এবং সাইফ আলি খান গত ২১ শে ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয়বার বাবা-মা হয়েছেন। সন্তানের জন্মের প্রায় ২ মাস কেটে গেছে কিন্তু গ্রানি শর্মিলা ঠাকুর এখনও তাকে দেখেননি নাতির মুখ। তৈমুরের জন্মের পর তাকে নিয়ে যেই মাত্রায় চর্চা হয়েছে সেই অভিজ্ঞতা থেকেই দ্বিতীয় সন্তানকে সব কিছুর থেকে আড়ালে আবডালে রেখেছেন সইফিনা। সমগ্র বিশ্বের থেকে নাহয় নিজের ছেলেকে দূরে রাখার সঙ্গত কারণ রয়েছে। কিন্তু শাশুড়ি মা শর্মিলা ঠাকুরও এখনো পর্যন্ত দেখেননি নাতির মুখ, আশ্চর্যের ব্যাপার এটাই।
একটি সাক্ষাৎকারে করিনা জানিয়েছিলেন শর্মিলা ঠাকুরের সঙ্গে নাকি তার দারুণ সম্পর্ক। কিন্তু তার পরেও কেন ছেলেকে এখনো দেখতে এলেননা নব্বইয়ের দশকের শর্মিলা বেগম তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
আসলে এই পুরো ঘটনার জন্য দায়ী মারণ ভাইরাস করোনা। গত বছর থেকে করোনার জেরে ছারখার হয়ে গিয়েছে চারিধার। একদিকে বয়স বাড়ছে শর্মিলা দেবীর অন্যদিকে ঘরে সদ্যজাত। এই কারণেই ঠাকুমা নাতির মধ্যে এই দূরত্ব তৈরি হয়েছে।করিনা, সইফ ও তাঁর দুই সন্তান রয়েছেন মুম্বইয়ের বাড়িতে। আর শর্মিলা আছেন দিল্লির বাড়িতে। এখন মুম্বই যেতে হলে তাঁকে বিমানে যাত্রা করতে হবে যা তাঁর জন্য এই সময় সঠিক হবে না বলেই মনে করেন করিনা ও সইফ।
একটি ভিডিও বার্তায় শাশুড়িকে উদ্দেশ্য করে অভিনেত্রী বলেন, “এই পুরো বছরটি কেটে গেছে এবং আমরা আসলে আমাদের আগের মতো সময় কাটাতে পারিনি। আপনি আমাদের পরিবারে নতুন সংযোজনটি দেখতে পাচ্ছেন না তবে আমরা কেবল আপনার সাথে একসাথে আসার জন্য অপেক্ষা করছি, আপনার সাথে কিছুটা সময় ব্যয় করব।”
কারিনা তাঁর শ্বাশুড়ির পক্ষে সমস্ত প্রশংসা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “লোকেরা যখন আমাকে আপনার সম্পর্কে কথা বলতে বলে আমি সর্বদা ঘাবড়ে যাই। কারণ যখন এই জাতীয় আইকন এবং কিংবদন্তীর কথা বলার কথা আসে তখন কী বলার বাকি থাকে? গোটা বিশ্ব জানে যে আমার শ্বাশুড়ি, যিনি আমি আমার শ্বাশুড়িকে ডাকার জন্য ভাগ্যবান, তিনি পৃথিবীতে হেঁটে যাওয়ার জন্য অন্যতম মার্জিত এবং করুণাময় মহিলা। তবে আমি তার চেয়েও গভীর তাকে জানার জন্য আমি ভাগ্যবান যে তিনি উষ্ণ, তিনি প্রেমময়, যত্নশীল এবং এমন একজন যিনি সর্বদা কেবল তার সন্তানের জন্য নয় তার নাতি-নাতনী, পুত্রবধূ। আমার সাথে সর্বদা অন্তর্ভুক্ত থাকা কেউই আমাকে এই পরিবারের অংশ মনে করেন ।