অনেকের মতেই আমের রাজা (king of mango) হিমসাগর (himsagar)। কারণ যেমন সুন্দর দেখতে হিমসাগর আমি তেমনি সুস্বাদু খেতেও। গরমকাল পড়তেই শুরু হয় আমের সিজেন আর বাঙালির খাবারের পাতে গরমকালে আমি থাকবেনা তাও আবার হয় নাকি! তবেই হিমসাগর আমাকেই যদি তাহলে আপনি মশাই একেবারে ভুল ধারণা রাখেন। কারণ পৃথিবীর সবচাইতে দামি আমের দাম শুনলে হয়তো ভিরমি খেতে পারেন আপনি।
২০২০ সালের দাম অনুযায়ী এই আমাদের দাম প্রতি কেজি ২.৭০ লক্ষ টাকা। নাম জানতে ইচ্ছা হচ্ছে নিশ্চয়ম তাহলে বলি এই আমের নাম হল মিয়াজাকি আম (Miyazaki Mango)। আমটিকে ‘রেড ম্যাংগো বা Egg of the Sun’ বলেও মানেন অনেকেই। ভাবতে পারছেন লক্ষাধিক টাকা দাম দিয়ে মাত্র কেজি আমি কিনতে পারবেন। পৃথিবীর সবথেকে দামি এই আমি পাওয়া যায় জাপানে। অতন্ত্য দুষ্প্রাপ্য এই আম এবার ফলেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের এক ব্যক্তির জমিতে।
অবশ্য প্রথমদিকে তিনি নিজেও জানতেন না কতটা দামি আর দুষ্প্রাপ্য আমগাছ হাতে পেয়েছেন তিনি। মধ্যপ্রদেশের এক দম্পতির ট্রেনে চেন্নাই যাবার সময় এই গাছের চারা পেয়েছিলেন। এরপর জোব্বালপুরে নিজেদের বাড়িতে ফিরে আসার পর সেই চারা জমিতে পুঁতে দেন ওই দম্পতি।
আম গাছ লাগিয়ে আমের ফলন হবার আগে পর্যন্ত দম্পতি নিজেও জানতেন না যে কি দুর্মূল্য আমের চাষ করে ফেলেছেন তারা। যখন গাছে আম হয় তখন দেখেন যে আমি একেবারে চুনী পাথরের মত লাল রঙের। সাধারণত আমি হলুদ বা সবুজ রঙের হয়ে থাকে কিন্তু এমন অদ্ভুত রং হয়ে খোঁজ খবর শুরু করেন তারা। এরপরেই জানতে পারেন যে জাপানের দুর্মূল্য মিয়াজাকি আমের ফল করেছেন তারা।
এই খবর জানতে পৰ মাত্রই দম্পতি বুঝতে পারেন রীতিমত আলাদিনের চিরাগ পেয়ে গিয়েছেন তারা। কিন্তু ততক্ষনে আশেপাশের লোকেরা জানতে পেরে গিয়েছে এই দুর্মূল্য আমের কথা। জানতে পাড়ার পর থেকেই রীতিমত চোরের উপদ্রব শুরু হয়েছে দামি এই আম চুরির উদ্দেশ্যে। বধূ হয়ে আম গাছ রক্ষা করতে ছাড়তে গার্ড ও ৬ টি কুকুরকে দিয়ে পাহারাদারী চালাতে হচ্ছে তাদের।