Evil Mother In Law of Bengali Mega Serials : প্রতিদিন বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হতেই টেলিভিশনের পর্দায় হাজির হয় একের পর এক ভিন্ন স্বাদের সিরিয়াল (Bengali Serial)। এখনকার বেশিরভাগ সিরিয়ালে নায়ক নায়িকাদের পাশাপাশি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকেদজ্জাল শ্বাশুড়িদেরও।একটা সময় এই শ্বাশুড়ি বৌমাদের কূটকচালি নিয়েই তৈরি হতো বাংলা সিরিয়াল। এখন সেই পূর্ণ বিষয়টাকেই বাস্তবতার মোড়কে তুলে ধরা হচ্ছে টেলিভিশনের পর্দায়। আজকের প্রতিবেদনে থাকছে এখনকার বাংলা সিরিয়ালের জগতের এমনই কয়েকজন কুচুটে শ্বাশুড়িদের তালিকা।
শিমুলের শ্বাশুড়ি (Shimul’s Mother in Law) : জি বাংলার ‘কার কথা কার কাছে কই মনের কথা’ সিরিয়ালের নায়িকা শিমুল কেও ছাপিয়ে গিয়েছেন তার শ্বাশুড়ি। ধারাবাহিকে এই প্রবীণ অভিনেত্রীর গা জ্বালানো সংলাপ আর শিমুলের প্রতি অত্যাচার দেখে রাগে ফুঁসতে থাকেন দর্শকরা। পর্দায় এই শিমুলের শ্বাশুড়ির চরিত্রে অভিনয় করছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী রীতা চক্রবর্তী। যদিও এই চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে ইতিমধ্যে জুটেছে অনেক সমালোচনা। তাকে দেখলেই লোকজন গালাগাল দিচ্ছে এখন। কিন্তু মানুষের এই সমালোচনাকেই নিজের অভিনয় জীবনের প্রাপ্তি বলে মনে করেন অভিনেত্রী।
পর্ণার শ্বাশুড়ি (Parnar Mother in Law) : তালিকায় রয়েছেন ‘নিম ফুলের মধু’ সিরিয়ালের নায়িকা পর্ণার শ্বাশুড়ি কৃষ্ণা। যিনি দর্শকমহলে ‘বাবুর মা’ নামেই বেশি জনপ্রিয়। পর্দায় তিনি পর্ণার শ্বাশুড়ি চরিত্রে অভিনয় করলেও বাস্তব জীবনে তিনি সৃজন অভিনেতা রুবেল দাসেরই সমবয়সী। ধারাবাহিকে দত্ত বাড়ির এই জাঁদরেল মহিলা সারাক্ষণ টাইট দিতে ব্যস্ত থাকে তার ছেলের বউকে। এই মুহূর্তে বাংলা সিরিয়ালের জগতে অন্যতম দাপুটে শ্বাশুড়ি হয়ে উঠেছেন এই কৃষ্ণা অভিনেত্রী অরিজিতা মুখোপাধ্যায়।
মেঘের শ্বাশুড়ি (Megher Mother in Law) : এরপরই রয়েছেন এই একই চ্যানেলের আরও একটি জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘ইচ্ছে পুতুল’-এর নায়িকা মেঘের শ্বাশুড়ি। সিরিয়ালে পেশায় ডাক্তার হলেও আদতে বিচার বুদ্ধি দিয়ে মানুষকে বিচার করার কোন ক্ষমতাই নেই তাঁর। ছেলে সৌরানীলের বউ হিসাবে প্রথম থেকেই তার পছন্দ ছিল মেঘের দিদি ময়ূরী। তাই নীল তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে মেঘকে বিয়ে করায় আজ পর্যন্ত মেঘের সাথে ভালো ব্যবহার করতে দেখা যায়নি তাকে।
তিতিরের শ্বাশুড়ি (Titir Mother in Law) : রয়েছেন মন দিতে চাই সিরিয়ালের নায়িকা তিতিরের শাশুড়ি বলা ভালো, সৎ শ্বাশুড়ি মালিনী দেবী। ধারাবাহিকে টাকা ছাড়া কিছুই বোঝেন না তিনি। কিন্তু তার স্বরূপ অনেক আগেই বুঝে গিয়েছে তিতির। তাই তিতিরকে বিপদে ফেলার জন্য প্রতি মুহূর্তে নিত্য নতুন ছক কষতে থাকে এই পর্দার মালিনী দেবী।