ঘন, কালো, লম্বা চুল ( Long Hair) কে না চায়? কিন্তু সেই স্বপ্ন সবার পূরণ হয় না। বিশেষত বর্ষাকাল (Monsoon) এলে চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যায় (Hair Problem) ভোগেন প্রত্যেকে। বৃষ্টি-বাদলের মরসুম এলেই চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা কমবেশি প্রত্যেকেই ভোগেন। অনেকের ক্ষেত্রে চুল উঠে টাকও পড়ে যায়। আজকের প্রতিবেদনে তাই এমন ৩ ভেষজের নাম তুলে ধরা হল যা ব্যবহার করলে চুল পড়ার সমস্যা কমে যায়। এমনকি টাক মাথাতেও চুল গজায়। চলুন দেখে নেওয়া যাক সেই ভেষজগুলোর নাম কী।
চুলের যত্নে ম্যাজিকের মতো কাজ করে জবা
জবা ফুল (China Rose) শুনলেই আমাদের মনে হয় তা শুধুমাত্র পুজোর কাজে ব্যবহৃত হয়। তবে অনেকেই জানেন না, চুলের যত্নেও এই ফুল ভীষণ কার্যকর। ন্যাশানাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চুলের বৃদ্ধিতে এই ফুল দারুণ কার্যকর। চুল পড়া রোধ করার পাশাপাশি নতুন চুল গজাতেও এই ফুল প্রচণ্ড কাজে আসে। এক মুঠো জবা পাতা নিয়ে ভালো করে ধুয়ে পেস্ট করে নিন। এরপর এর সঙ্গে সামান্য টক দই মেশান। তারপর সেই মিশ্রণ চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন। কয়েক মাস লাগালে নিজের চোখেই রেজাল্ট দেখতে পাবেন।
চুলের যত্নে আস্থা রাখুন কারি পাতার ওপর
আমাদের অনেকের বাড়িতেই কারি পাতা (Curry Leaves) গাছ থাকে। অ্যান্টি অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ এই পাতা চুলে লাগালে চুল পুষ্টি পায়। পাশাপাশি এটা চুলের বৃদ্ধিতেও কাজে আসে। এবার নিশ্চয়ই ভাবছেন সেটা কীভাবে ব্যবহার করবেন? রাতে মেথি ভিজিয়ে রাখুন। এরপর সকালে তার সঙ্গে এক মুঠো কারি পাতা এবং আমলকি মিশিয়ে মিশ্রণ করে নিন। এরপর চুলের গোড়ায় সেই মিশ্রণ লাগান। ৩০ মিনিট লাগিয়ে চুল ধুয়ে নিন। ফলাফল নিজেই দেখতে পাবেন।
কেশুতি পাতাতেই লুকিয়ে আছে চুলের যত্নের মন্ত্র
রাস্তাঘাটে যে কোনও জায়গায় বেরোলেই আমারা কেশুতি পাতা (Keshuti Leaves) গাছ দেখতে পাই। এই পাতা চুল পড়া বন্ধ করতে এবং চুল কালো করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি মাথায় টাক পোকা লাগলে অথবা টাক পড়লে তা রোধ করতেও সাহায্য করে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক টাক মাথায় নতুন চুল গজাতে কেশুতি পাতা কীভাবে ব্যবহার করা উচিত।
প্রথমে কিছুটা কেশুতি পাতা নিয়ে তা ভালো করে ধুয়ে নিন। এরপর সেই পাতা বেটে রস বের করে নিন। এরপর সেই রস চুলের আগা থেকে শুরু করে ডগা পর্যন্ত লাগিয়ে নিন। ১ ঘণ্টা মতো রেখে শ্যাম্পু করে নিন। উপকার পাবেন তা নিশ্চিত।