ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অন্যতম কালজয়ী অভিনেত্রী হলেন নুতন (Nutan)। গতকালই গিয়েছে এই স্বর্গীয় অভিনেত্রীর ৮৬ তম জন্মদিন। মাত্র ৫৪ বছর বয়সে ১৯৯১ সালের ২১ ফ্রেব্রুয়ারি প্রয়াত হয়েছিলেন অভিনেত্রী। তাঁর থেকে গোটা ইন্ডাস্ট্রির হয়তো আরও অনেক কিছুই পাওয়ার ছিল। কিন্তু তার আগেই বড্ড অসময়ে চলে গিয়েছেন অভিনেত্রী। মারণ রোগ ক্যান্সারের কাছে চোখের সামনে হারিয়ে যায় একটা গোটা অধ্যায়।
ভারতীয় অভিনেত্রী নূতন এবং রজনীশ বহেলের (Rajnish Bahel) ছেলে হলেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা মোহনীশ বহেল (Mohnish Bahel)।যদিও সবাই তাকে মণীশ বলেই চেনেন।গতকাল প্রয়াত অভিনেত্রীর জন্মদিনে সংবাদমাধ্যমে তাঁর স্মৃতি চারণা করেছিলেন ছেলে মনীশ বহেল। এদিন তিনি অতীতের পাতা থেকে তুলে আনেন ভারতীয় সিনেমার এই কিংবদন্তি অভিনেত্রীর সাথে কাটানো নানান স্মৃতি মধুর দিন গুলির কথা।
প্রসঙ্গত অভিনেতা মণীশ বেহলের জীবনও আদ্যপান্ত কোনো সিনেমা থেকে কোনো অংশে কম নয়। তাঁর জীবনের পরতে পরতে ভরপুর ট্রাজেডি। অল্প বয়সে মা নুতনকে হারানোর ক্ষত শুকানোর আগেই ২০০৪ সালে মুম্বাইয়ের কোলাবার এক বহুতলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত্যু হয় মনীশ বহেলের বাবা রজনীশ বহেলের। রজনীশ ছিলেন নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার। তাঁর পরিচালিত একমাত্র সিনেমা হল ১৯৬২ সালের ‘সিরাত অর সুরাত’ (Sirat Aur Surat)।
মা নুতনের স্মৃতি চারণা করে এদিন অভিনেতা জানিয়েছেন তার গোটা ছোটো বেলা জুড়েই ছিলেন তার মা নুতন। তাই শুধুমাত্র একজন অভিভাবক নন মা নুতন ছিলেন মনীশ বহেলের সবচেয়ে কাছের বন্ধু। যার কাছে তিনি মন উজাড় করে বলতে পারতেন সুখ, দুঃখের সমস্ত কথা। অকপটে বলতে পারতেন প্রেম, বিচ্ছেদ, সহ একাধিক না বলা কথা। মনীশ বহেলের কথায় ‘ আমার মা একজন ভালো অভিনেত্রী থেকে হাজার গুণ ভালো মানুষ ছিলেন এবং তার থেকে হাজার গুণ ভালো মা ছিলেন তিনি। তাই আমার কাছে তিনি সব সময়ের জন্যই একজন সুন্দর মা’।
মায়ের কথা বলতে গিয়ে এদিন ছোটবেলার একটা পুরনো ঘটনার কথা জানিয়েছেন মনীশ। তিনি জানান ‘সেসময় একটি ছবিতে মা একজন বিদেশিনীর চরিত্রে অভিনয় করছিলেন। সেই চরিত্রের প্রয়োজনে তাকে নীল রঙের কন্টাক্ট লেন্স এবং সোনালী রংয়ের পট চুল পড়তে হয়েছিল। আর মাকে ওই রুপে দেখে প্রথমে আমি তো চিনতেই পারিনি কিন্তু যেই তিনি কথা বলতে শুরু করলেন তখন বুঝলাম এইতো আমার মা! এরপরই কেঁদে ছুটে চলে গিয়েছিলাম মায়ের কোলে’।