বঙ্গে ফুচকা প্রেমীর অভাব নেই! মেয়েরা তো বটেই ছেলেরাও ফুচকা খেতে কোনো অংশে কম যায়না। তবে ফুচকাওয়ালাদের নিয়ে মাঝে মধ্যেই বিতর্কের সৃষ্টি হয় কখনো ফুচকা কম দেবার মতো বিষয় নিয়ে তো কখনো পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে। যদিও এই সমস্ত অভিযোগের জেরে ফুচকার জনপ্রিয়তা কমেনি নাম মাত্রও। যেমনটি ছিল তেমনি আছে ফুচকার জনপ্রিয়তা।
তবে এই ফুচকায় যদি মেশানো হয় জঘন্য সমস্ত জিনিস যা মোটেই খাবার যোগ্য নয়! নানা সময়ে একাধিকবার অভিযোগ মিলেছে ফুচকাওয়ালাদের বিরুদ্ধে তারা আজেবাজে সমস্ত জিনিস মিশিয়ে ফুচকা বিক্রি করছিলেন। সম্প্রতি আবারো এমনই এক অভিযোগের খবর মিলেছে। অবশ্য শুধুই অভিযোগ নয় সাথে রয়েছে ভিডিও প্রমাণ।
সম্প্রতি এক জঘন্য ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়ে পড়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে ফুচকার জলের মধ্যে প্রসাব মিশিয়ে বিক্রি করছেন ফুচকাওয়ালা। ভিডিও দেখে রীতিমত বাজ পড়েছে ফুচকাপ্রেমীদের মাথায়! প্রিয় ফুচকায় এভাবে প্রসাব মেশানোর কান্ড দেখা মাত্রই রগে ফুঁসেছেন নেটিজেনরা।
যেমনটা জানা যাচ্ছে ঘটনাটি আসামের গুয়াহাটির। সেখানে আটগাঁও নামের এক জায়গায় এই ব্যক্তির ফুচকার স্টল, সেখানেই ফুচকার জলে প্রসব মেশাতে গিয়ে ক্যামেরায় ধরা পড়েছেন ব্যক্তি। ভিডিও ভাইরাল হবার পরেই স্থানীয় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। তবে ভিডিও দেখার পর নেটিজেনদের মতে ফুচকা খেতে গেলে এবার দুবার ভাবতে হবে!
প্রসঙ্গত ফুচকায় প্রসাব মেশানোর বা নোংরা জল মেশানোর অভিযোগ এই প্রথমবার নয়। বিভিন্ন জায়গায় ভিন্ন সময়ে একাধিকবার এই ধরণের অভিযোগ উঠেছে। একসময় আগে এককালে এই ধরণের ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদমূলক আন্দোলনে রাস্তায় নেমেছিল মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা। ৩০০এরও বেশি ফুচকার দোকানভেঙে ফেলা হয়েছিল আন্দোলনের সময়। এছাড়াও ২০১৭ সালে গুজরাটে এক ফুচকাওয়ালার কুকীর্তি ধরা পড়ে। বাথরুম পরিষ্কারের রাসায়নিক মিশিয়ে ফুচকা বিক্রি করতেন তিনি। ধরা পড়ার পরে ৬ মাসের জন্য জেল হয়েছিল ওই ফুচকাওয়ালার।