বলিউডের এভারগ্রীণ অভিনেত্রীর কথা উঠলেই প্রথমেই আসে শ্রীদেবীর (Sridevi) নাম। বছরের পর বছর দর্শকদের জন্য একের পর এক সুপারহিট ছবি উপহার দিয়ে একসময় তিনিই হয়ে উঠেছিলেন দেশের প্রথম মহিলা সুপারস্টার। বলিউডের ‘চাঁদনি’ তিনি। বলিউডের এই প্রতিভাবান অভিনেত্রীর অকাল প্রয়াণের শোকে আজও কাতর তার অনুরাগীরা। মৃত্যুর পর আজও তার জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি এক ফোঁটাও। দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে গোটা বিশ্বে আজও তার অগণিত ভক্ত। আর ভক্তদের কাছে শ্রীদেবী এক এবং অদ্বিতীয়।
তবে অভিনয় বা কাজের দিক থেকে তাকে নিয়ে দ্বিতীয় একটা কথাও বলার জো না থাকলেও, অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবন যেন সিনেমা। তা নিয়ে চর্চা লেগেই থাকে প্রায়শই। শ্রীদেবীর সঙ্গে বলিউডের ডিস্কো ডান্সার মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) সম্পর্ক নিয়ে জলঘোলা লেগেই থাকে।
একবার এক সাক্ষাৎকারে মিঠুন নিজেই জানিয়েছিলেন, শ্রীদেবীকে নাকি গোপনে বিয়েও করেছিলেন অভিনেতা। শ্রীদেবীর সাথে যখন মিঠুনের সম্পর্ক মধ্য গগনে তখন তার স্ত্রী যোগিতা বালি এই পরকীয়ার কথা জানতে পেরে নাকি আত্মহত্যারও চেষ্টা করেছিলেন৷ অর্থাৎ একথা বললেও ভুল হয়না যে, শ্রীদেবীর কারণেই ভেঙে ছারখার হয়ে গিয়েছিল অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর সংসার।
তবে এত ঝামেলা অশান্তির পরেও শ্রী- মিঠুনের সম্পর্ক পরিণতি পায়নি। একসময় তাসের ঘরের মতো ভেঙে গিয়েছিল তাদের ভাব ভালোবাসা। শুধু মিঠুন চক্রবর্তীই নন একাধিক অভিনেতার সঙ্গে বিভিন্নবার জড়িয়েছে শ্রীদেবীর নাম। মিঠুনও তার স্ত্রী যোগিতা বালির আত্মহত্যার হুমকি শুনে পিছিয়ে আসেন সম্পর্ক থেকে।
বলিউডের তাবড় তাবড় অভিনেতাদের সাথে সম্পর্কে থেকে, শ্রীদেবী শেষমেশ সাত পাক ঘুরেছিলেন দুই সন্তানের বাবা বিবাহিত বনি কাপুরের সাথে। শোনা যায় বনি কাপুরও সেই সময় শ্রীদেবীকে পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। রূপ কি রানি চোরো কা রাজা’ ছবির জন্য এক মাস বনির বাড়িতে ছিলেন শ্রী। সালটা ১৯৯৬ এর আশেপাশে, সেই সময় নাকি অন্তঃসত্ত্বাও হয়ে পড়েছিলেন বলিউডের ‘চাঁদনি’। এরপরেই নিজের স্ত্রী সন্তানদের ছেড়ে শ্রীদেবীর গলায় মালা দেন বনি কাপুর।