আজও দেশজোড়া তার নাম। এক সময় বলিউড তথা টলিউড কাঁপিয়েছেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। অভিনয়ই তার পরিচয়। কিন্তু মিঠুন পুত্র মিমো চক্রবর্তীর উপর মানুষের অনেক প্রত্যাশা থাকলেও, একে বারেই এদিক থেকে বাবার ‘মুখ’ রাখতে পারেননি তিনি। ‘মহাগুরু’র ছেলে হয়েও অভিনয় জগতে নিজের মাটি বিন্দুমাত্র শক্ত করেতে পারেননি মহাক্ষয় চক্রবর্তী ওরফে মিমো!
ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখার পর প্রায় ১২ টি ছবি করে ফেলেছেন মিমো, কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে সেই ছবি গুলির প্রায় বেশিরভাগই মানুষের মনে দাগ কাটতে পারেনি। যদিও ২০১১ সালে, তার প্রথম মুক্তি ছিল হান্টেড – থ্রিডি যা প্রথম ভারতীয় স্টেরিও-স্কোপিক থ্রিডি হরর ফিল্ম। ছবিটি ব্যবসায়িক সাফল্যের পাশাপাশি বিশাল সমালোচনার মুখেও পড়েছিল এবং এটি চক্রবর্তীর প্রথম হিট।
মিমো যখন নিজের কেরিয়ার নিয়ে সবে সবে স্ট্র্যাগল করা শুরু করেছেন ঠিক তখনই ২০১৫ সালে ধর্ষণের মামলায় জড়িয়ে পড়েন মিমো। মিঠুনের অভিনয় জীবনের প্রায় শেষ দশায় এসে একাধিক গুরুতর অভিযোগ উঠে এসেছে মিঠুন চক্রবর্তীর পরিবারের বিরুদ্ধে।
বলিউড তথা ভোজপুরি অভিনেত্রী প্রতারণা থেকে ধর্ষণ এমন নানান অভিযোগ আনেন মিঠুন পুত্র মিমো এবং মিঠুন চক্রবর্তীর স্ত্রী যোগিতা বালির বিরুদ্ধে। অভিনেত্রীর দাবি তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েও রাখা হয়নি উল্টে দীর্ঘ চার বছর মিঠুনের পরিবার তার সাথে চালিয়েছেন অমানবিক অত্যাচার। এমনকি মিঠুন পুত্র নাকি তাকে অন্তঃসত্ত্বা করেও পরে জোর করে গর্ভপাত করিয়েছিলেন, আর এই পুরো বিষয়টা জানতেন মিঠুনের স্ত্রী।এই সব মিলিয়ে একেবারেই হারিয়ে গিয়েছেন মিমো। কিন্তু কার্যতই মিঠুনের ‘মুখ রেখেছেন’ তার পুত্রবধূ মাদালসা শর্মা। অভিনেত্রী হিসেবে মিমোর থেকেও কয়েকগুণ বেশি জনপ্রিয়।