মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) নামটি শুনলেই সবার প্রথমে যে শব্দটি মাথায় আসে তা হল ‘ডিস্কো ডান্সার’ (Disco Dancer)। এই ছবির হাত ধরে রাতারাতি বদলে গিয়েছিল কলকাতার এই প্রতিভাবান অভিনেতার ভাগ্য। একসময় গায়ের রংয়ের জন্য যার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিত গোটা হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি, তিনিই ‘ডিস্কো ডান্সার’এর মাধ্যমে রাজত্ব কায়েম করেছিলেন সেখানে।
শহর কলকাতার এক নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলে মিঠুন। তাঁর দু’চোখে স্বপ্ন ছিল বড় অভিনেতা হওয়ার। ‘মহাগুরু’ ‘মৃগয়া’ ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন। তবে প্রকৃত অর্থে তিনি তারকা হয়েছিলেন ‘ডিস্কো ডান্সার’এর হাত ধরে। একজন সাধারণ স্ট্রাগলিং অভিনেতা থেকে তিনি হয়ে গিয়েছিলেন সুপারস্টার। রিলিজের ৪১ বছর পরেও দর্শকমহলে মিঠুনের এই ছবির জনপ্রিয়তা দেখার মতো। এবার তাঁদের জন্যই রয়েছে একটি সুখবর। কারণ দীর্ঘ চার দশকের অপেক্ষা শেষে আসছে ‘ডিস্কো ডান্সার’র সিক্যুয়েল (Disco Dancer sequel)।
১৯৮২ সালে রিলিজ করেছিলেন মিঠুনের কেরিয়ারের মোড় ঘোরানো ছবি ‘ডিস্কো ডান্সার’। এই ছবির হাত ধরেই মিঠুনের পরিচিতি হয়েছিল ‘ডিস্কো ডান্সার’ নামে। সেই সঙ্গেই জন্ম হয়েছিল আইকনিক মিঠুন-বাপ্পি লাহিড়ী জুটিরও। এখনও মানুষের মুখে মুখে ‘আই অ্যাম আ ডিস্কো ডান্সার’, ‘কোই ইয়াহা ইয়াহা নাচে নাচে’ শুনতে পাওয়া যায়।
আইকনিক ‘ডিস্কো ডান্সার’ রিলিজের পর কেটে গিয়েছে ৪১টি বছর। মিঠুনেরও এখন বয়স হয়েছে। তবে তা সত্ত্বেও সেই ব্লকবাস্টার ছবির জনপ্রিয়তা একটুও কমেনি। এবার সেদিকেই নজর রেখে ‘ডিস্কো ডান্সার’র সিক্যুয়েল আনার কথা ভাবছেন নির্মাতারা।
জানা গিয়েছে, ‘ডিস্কো ডান্সার’এর প্রযোজক-পরিচালক বি সুভাষ সিক্যুয়েলের প্রযোজনার দায়িত্ব সামলাবেন। অপরদিকে পরিচালকের আসনে থাকবেন নীতিন কুমার গুপ্তা। জানা গিয়েছে, প্রথম ছবির কাহিনী যেখানে শেষ হয়েছিল, সেখান থেকেই সিক্যুয়েলের কাহিনী শুরু হবে। ‘ডিস্কো ডান্সার ২’তে (Disco Dancer 2) জিমি এবং তাঁর ছেলের কাহিনী দর্শিত হবে বলে খবর।
অপরদিকে আবার শোনা যাচ্ছে, ‘ডিস্কো ডান্সার’এর সিক্যুয়েল তৈরির কথা শুরু হলেও এখনও মিঠুনের কাছে এই নিয়ে কোনও অফার যায়নি। তবে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। কারণ জানা গিয়েছে, নির্মাতারা জিমি চরিত্রে এই বঙ্গ তনয়কেই কাস্ট করবেন। তবে তাঁর ছেলের ভূমিকায় কাকে দেখা যাবে তা এখনও জানা যায়নি। পাশাপাশি এও জানা গিয়েছে, ‘ডিস্কো ডান্সার’এর সিক্যুয়েলের জন্য ইতিমধ্যেই একাধিক আন্তর্জাতিক সঙ্গীত পরিচালকের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন নির্মাতারা। অর্থাৎ এই ছবিটি যে বেশ বড় মাপের হতে চলেছে তা বুঝে নিতে কোনও অসুবিধা হচ্ছে না।