গতকাল অর্থাৎ ৭ই মার্চ বিজেপির (BJP) ব্রিগেড সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন স্বনামধন্য অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) আর তারপর থেকেই তাকে নিয়ে শুরু হয় জোর চর্চা। এরমাঝেই অঙ্কুশের হবু পত্নী অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা সেনের (Oindrila Sen) এর পোস্ট ঘিরে শুরু হয়েছে তুমুল জল্পনা। ব্রিগেডের সভায় বক্তব্য রাখার পর থেকেই মিঠুনকে নিয়ে চলছে যথেচ্ছ ট্রোল। এমতাবস্থায় ‘মহাগুরু’কে জড়িয়ে ধরে হাসি মুখে ছবি পোস্ট করলেন অঙ্কুশ ঘরণী। পেশাগত বা ব্যক্তিগত সম্পর্কের উর্ধ্বে উঠেই বিজেপিতে মিঠুনের যোগদানের দিনে এহেন ছবি পোস্ট প্রশ্ন তুলছে তবে কি টলিউডের এই দলবদলের হাওয়ায় ঐন্দ্রিলাও নামতে চলেছেন রাজনীতিতে?
মিঠুনের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে অভিনেত্রী লিখেছেন, “সবসময় সারাজীবন”, কিন্তু রাজনীতির প্রসঙ্গে ঐন্দিলার সোজা সাপটা উত্তর, “আমার এবং আমার পরিবারের সঙ্গে মিঠুন আঙ্কেলের সম্পর্ক বহু দিনের। মিঠুন আঙ্কল যে দলেই যাক না কেন, সেটা আমার দেখার বিষয় নয়। আমি শুধুমাত্র ভালবাসা থেকেই ছবিটা পোস্ট করি। হ্যাঁ, এটা সত্যি যে টিভিতে ব্রিগেডের মঞ্চে মিঠুন আঙ্কলকে দেখেই আমার ছবিটা পোস্ট করার কথা মনে হয়। তখনই পোস্ট করি। এই ছবিটা ম্যাজিকের প্রোমোশনের সময় ডান্স ডান্স জুনিয়রের মঞ্চে তোলা।”
রাজনীতির (Politics) সঙ্গে বিনোদন (Entertainment) জগতের মেলামেশা আজকের নয়।এর আগেও প্রশ্ন উঠেছে এই দল বদলের হাওয়ায় অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলাও রাজনীতি সম্পর্কে কী ভাবছেন৷ উত্তরে তারকাজুটি স্পষ্ট জানান, রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব বারংবারই এসেছে তাদের কাছে। কিন্তু রাজনীতি সম্পর্কে কিছুই বোঝেননা তারা। আর তাদের মতে, মানুষের পাশে দাঁড়াতে গেলে কোনও রাজনৈতিক পদের প্রয়োজন নেই। এই বেশ ভাল আছেন দু’জনে, যেমন সোনু সুদের উদাহরণ টেনে অঙ্কুশ জানান, “রাজনীতিতে না এসেও মানুষের পাশে দাঁড়ানো সম্ভব। যেমনটা সোনু সুদ (Sonu Sood) করে দেখিয়েছেন। আমফান ও করোনা (Corona Virus) পরিস্থিতিতে আমি আর ঐন্দ্রিলাও সাধ্যমতো মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। যতটা পেরেছি, সাহায্য করেছি। তবে রাজনীতি বিশাল বড় দায়িত্ব। সেই যোগ্যতা আমার ও ঐন্দ্রিলার নেই।” তবে রাজনীতি নিয়ে কোনোও বিরূপ মনোভাবও অঙ্কুশের নেই।
ঐন্দ্রিলার কথায় মমতা ব্যানার্জি এবং মিঠুন দুজনেই তার বেশ পছন্দের মানুষ, দিদিকে দেখলেই তার আদর করতে ইচ্ছে করে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বহুবার সিরিয়াল নিয়েও কথা হয়েছে বলে জানান তিনি।তিনি আরও বলেন, “দিদি, মিঠুন আঙ্কল দু’জনেই আমার কাছের মানুষ। রাজনীতির মঞ্চের সঙ্গে ব্যক্তি সম্পর্ককে এক করে ফেলি না আমি। দু’জনকে নিয়ে আমার কোনও দোটানা নেই।”