একদিকে যখন আমেরিকায় অস্কার (Oscar) জিতে ভারতের নাম উজ্জ্বল করছে ‘আরআরআর’, ঠিক সেই সময় কলকাতাতেও আয়োজিত হয়েছিল এই নামী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। তিলোত্তমার বুকে বসেছিল ‘ফিল্মফেয়ার বাংলা’র (Filmfare Awards Bangla) আসর। গোটা বিশ্বের সিনেদুনিয়ার সবচেয়ে নামী পুরস্কার যেমন অস্কার, তেমনই ভারতের সিনেদুনিয়ার অত্যন্ত সম্মানীয় একটি পুরস্কার হল ‘ফিল্মফেয়ার’।
বিনোদন দুনিয়ার প্রত্যেক তারকাই নিজের কেরিয়ারে অন্তত একটি ফিল্মফেয়ার (Filmfare) পুরস্কার জিততে চান। অনেকের স্বপ্ন পূরণ হয়, অনেকের আবার অধরাই থেকে যায়। প্রত্যেক তারকার অনুরাগীদেরও তাই এই অনুষ্ঠানটি নিয়ে আগ্রহ তুঙ্গে থাকে। চলতি বছর ফিল্মফেয়ারেও টলিপাড়ার (Tollywood) কোন তারকারা বাজিমাত করলেন তা জানার অপেক্ষায় যেমন বসে ছিলেন তাঁরা। আজকের প্রতিবেদনে সেই তথ্যই তুলে ধরা হল।
চলতি বছরের ফিল্মফেয়ারে ছিল একাধিক চমক। সব ছবিকে টেক্কা দিয়ে চলতি বছরের সেরা ছবির শিরোপা অর্জন করে নিয়েছে ‘দোস্তজী’ এবং ‘বল্লভপুরের রূপকথা’। অপরদিকে প্রসেনজিৎ-জিৎ-দেবকে হারিয়ে ‘প্রজাপতি’ ছবির জন্য সেরা অভিনেতার (Best actor) পুরস্কার পেয়েছেন কিংবদন্তি মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। চমক রয়েছে সেরা অভিনেত্রীর (Best actress) বিজেতার নামেও।
শুভশ্রী-কোয়েল-মিমিকে টেক্কা দিয়েছে এই বছর টলিপাড়ার সেরা অভিনেত্রীর শিরোপা ছিনিয়ে নিয়েছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee)। ‘শ্রীমতী’ ছবির জন্য এই পুরস্কার পেয়েছেন অভিনেত্রী। সেরা সহ অভিনেতা এবং সহ অভিনেত্রী হয়েছেন যথাক্রমে শ্যামল চক্রবর্তী (বল্লভপুরের রূপকথা) এবং মমতা শঙ্কর (প্রজাপতি)। ক্রিটিকের মতানুসারে সেরা ছবি হয়েছে ‘অভিযান’ এবং ‘আ হোলি কনস্পিরেসি’। ক্রিটিকদের বিচারে সেরা অভিনেতা এবং সেরা অভিনেত্রী হয়েছেন যীশু সেনগুপ্ত (অভিযান), গার্গী রায়চৌধুরী (মহানন্দা) এবং শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় (বৌদি ক্যান্টিন)।
এছাড়া সেরা নবাগত পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছেন ‘ঝিল্লি’ ছবির নির্দেশক ঈশান ঘোষ এবং ‘প্রিয় চিনার পাতাঃ আইটিআই সেগুন’এর নির্মাতা কুমার চৌধুরী। এছাড়াও অরিজিৎ সিং, কৌশিকী চক্রবর্তী, ইন্দ্রদীপ দাশাগুপ্তের মতো একাধিক তারকারা সঙ্গীত বিভাগে সেরার শিরোপা আদায় করে নিয়েছেন।
সব মিলিয়ে চলতি বছরের ‘ফিল্মফেয়ার বাংলা’ ছিল একাধিক চমকে ভরা। বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে তারকাদের উপস্থিতিও ছিল দেখার মতো। আগামী বছর ফের কোন চমক নিয়ে আসে এই অনুষ্ঠান আপাতত সেটি দেখার জন্যই মুখিয়ে রয়েছেন বাংলার প্রত্যেক সিনেপ্রেমী মানুষ।