মিঠাই মানেই হাসি-খুশি বাঙালি পরিবার। সারাক্ষণ গোটা বাড়ি মাথায় করে রাখে হল্লা পার্টি। সারা বাংলা মুগ্ধ মিঠাই ম্যাজিকে। মনোহরার হাসিখুশি মুখ গুলোর সামনে নিমেষে ফিকে হয়ে যায় যে কোনো দুঃখ। এই সিরিয়ালের জনপ্রিয়তা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। নতুন বছরের শুরুতেই মাত্র কদিন আগেই সাফল্যের সাথে এক বছর পূর্ণ করেছে মিঠাই সিরিয়াল।
সেই আনন্দ শেষ হতে না হতেই নতুন বছরের শুরুতেই বড় ধাক্কা মিঠাইরানির জীবনে। মা অন্ত প্রাণ মিঠাই। সবেমাত্র জামাইয়ের সাথে মেয়ের বাড়ি এসেছিলেন তিনি। মিঠাই, গুলতি, আর মিঠাইয়ের মাকে নিয়ে সারা কলকাতা ঘুরিয়ে, পাশে বসিয়ে নিজের হাতে বেড়ে খাইয়েছে সিদ্ধার্থ। শুধু তাই নয় সিদ্ধার্থের মধ্যে যে পরিবর্তন এসেছে তা দেখে দারুন তৃপ্তি পেয়েছেন তিনি।
সিদ্ধার্থ যেভাবে মিঠাইয়ের খেয়াল রাখছে তা দেখে তিনি মনে বলেছেন গোপাল তাকে অনেক দিয়েছে।তার কাছে আর কিছু চাওয়ার নেই। এসবের মধ্যেই হঠাৎ করেই নতুন মোড় সিরিয়ালে। জনাইয়ে ফিরতেই ঘটে গেল। এদিকে সিদ্ধার্থ অফিসের কাজে সবে ব্যাঙ্গালোর রওনা দিয়েছে।
তখনই জনাই থেকে মিঠাইয়ের কাছে ফোন আসে তার মায়ের শরীর ভালো নেই। এরপর জনাই গিয়ে মাকে শেষ দেখা টুকুও দেখতে পায়নি মিঠাই। সারাক্ষণ হাসিখুশি থাকা মিঠাই কথা বলার শক্তি হারিয়ে শোকে পাথর হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে মনোহরা থেকে তার সাথেই এসেছে নন্দা, রাজীব, শ্রী, স্যান্ডির।
কিন্তু মুখ দিয়ে কথা সরছে না মিঠাইয়ের। মায়ের অস্থির সামনে বসে বসেই চোখ দিয়ে অনবরত জল ফেলতে ফেলতে মায়ের সাথে কাটানো পুরনো স্মৃতি মনে করে চলেছে মিঠাই। তবে পরিস্থিতিতে মিঠাইয়ের পাশে নেই তার উচ্ছেবাবুও। যদিও মিঠাইয়ের মায়ের মৃত্যু সংবাদ এখনও কানে পৌঁছায়নি তার।