বাংলা সিরিয়ালের মধ্যে মিঠাইকে (Mithai) যেন আটকানো যাচ্ছে না। জনপ্রিয়তার দিক থেকে বিগত চার সপ্তাহ একই প্রথম স্থান দখল করে রেখেছে মিঠাই। বলতে গেলে মিঠাই ম্যাজিকে মেতে রয়েছে বাঙালি দর্শকেরা। ছটফটে আর সাধাসিধে মিঠাই যে কিনা সকলের ভালোর কথা চিন্তা করে। আর মিঠাই পড়েছে উচ্ছেবাবু মানে সিদ্ধার্থের মত এক লোকের খপ্পরে। যেকিনা একেবারেই বেরসিক, মিষ্টি পর্যন্ত পছন্দ করে না। কথায় কথায় শুধু রাগ আর মুখে চোখে গাম্ভীর্য।
তবে যাই হোক না কেন, এমনি দুই চরিত্রের কেমিস্ট্রি কিন্তু বেশ মনে ধরেছে দর্শকদের। মিঠাই নিজেই গোটা বাড়ি মাতিয়ে রাখে কিন্তু সিদ্ধার্থের মন বোধয় ঠিক মত পায়নি। এটা দেখে দাদু সিদ্ধার্থ আর মিথ্যের ডিভোর্স করিয়ে দিয়েছে। আর এরপর থেকেই যেন হাওয়া বদলেছে। মিঠাইয়ের প্রতি দায়িত্ববোধ বেড়ে গিয়েছে সিদ্ধার্থ অর্থাৎ সিডের। বলতে গেলে ডিভোর্স নামেই হয়েছে। আদতে কিন্তু প্রেম বাড়ছে দুজনের মধ্যে।
এরই মাঝে নিপার বিয়ের পর্ব আসে সিরিয়ালে। দেখা যায় বিয়ের দিন বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছে সে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে পাওয়া গেলেও রাতুলের সাথে নিপার বিয়েতে মত নেই দুই পরিবারের কারোর। শেষমেশ দুই পরিবারের সন্মান বাঁচাতে শ্রীতমা বউ সেজে বিয়ের পিঁড়িতে বসে। নিপার বদলে রাতুল আর শ্রীতমার বিয়ে হয় সিরিয়ালে।
কিন্তু বিয়ে মিটতেই সিরিয়ালে বেড়েছে উদ্বেগ। বিয়ের পর বাড়িতে রবীন্দ্রজয়ন্তী উৎসব পালন দেখানো হবে। এমনটাই দেখানো হয়েছে প্রোমোতে, সাথে রয়েছে সিরিয়ালের আরেকটি নতুন মোড়। দেখা যাচ্ছে আনন্দ অনুষ্ঠানের মাঝেই মিঠাই আর সিদ্ধার্থের ডিভোর্সের কাগজ নিয়ে হাজির হয়েছে উকিল রেবতী। উকিলকে দেখে মিঠাই একেবারেই অবাক হয়ে গিয়েছে। এমনকি যে সিদ্ধার্থ মিঠাইকে একসময় সহ্য করতে পারতো না সেই সিদ্ধার্থরও মনে কষ্ট হচ্ছে উকিলকে আসতে দেখে।
এই প্রমো দেখানোর পর থেকেই দর্শকদের মনে কিছু প্রশ্ন ভিড় জমাচ্ছে। তাহলে কি সত্যিই মিঠাই আর সিদ্ধার্থের ডিভোর্সটা হয়ে যাবে? কারণ দাদুর কথা মত বিয়ে করে সিদ্ধার্থ খুশি ছিল না বলেই নাকি ডিভোর্সের ব্যবস্থা করিয়েছিল দাদু। আর তার কথা মত সুজনেই ডিভোর্স পেপারে সাইন করে দিয়েছিল। তবে এরপরেও দর্শকরা ভেবেছিলেন হয়তো দাদুর কোনো কারসাজি এটা মিঠাই আর সিদ্ধার্থকে এক করার জন্য। এরপর অবশ্য মিঠাইয়ের জন্য অনেকটা যত্ন বেড়ে গিয়েছিল সিদ্ধার্থের মনে। কিন্তু শেষমেশ কি হয় এটাই এখন দেখার।