বাংলার ঘরে ঘরে এখন সুখে দুঃখে মিষ্টি মুখে মিঠাই (Mithai)। তাই দর্শকদের কাছে মিঠাই সিরিয়াল দেখা এখন একপ্রকার রোজকার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে টিআরপি (TRP) লিস্টে শীর্ষস্থান ধরে রেখে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছিল সিরিয়ালের গোটা টীম। কিন্তু সম্প্রতি TRP তালিকা থেকে এক ধাক্কায় অনেকটাই পিছিয়ে গিয়েছে এই ধারাবাহিক।
কিন্তু TRP তে পিছিয়ে গেলে কি হবে দর্শকমহলে কিন্তু আজ পর্যন্ত কমেনি এই ‘মিঠাই’ সিরিয়ালেল জনপ্রিয়তা। আর এখন তো প্রায় প্রতিদিনই চুটিয়ে প্রেম করতে দেখা যাচ্ছে মিঠাই আর সিদ্ধার্থকে। তাই এই সিরিয়ালের একটাও এপিসোড মিস করতে চান না দদর্শকরাও। উল্লেখ্য পাহাড়ে ছুটি কাটাতে যাওয়ার পর থেকেই একেবারে পাল্টে গিয়েছে সিড আর মিঠাইয়ের সম্পর্কের রসায়ন।
মিঠাইরানির স্বপ্ন সত্যি করে পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে একেবারে ফিল্মি স্টাইলে চিৎকার করে নিজের বৌকে ‘আই লাভ ইউ’ বলেছে উচ্ছেবাবু। তারপর থেকেই মিঠাইকে একেবারে চোখে হারাচ্ছে সিড। কাঠখোট্টা কাজ পাগল দাদুর নাতিও এখন ভালোবাসায় বিশ্বাস করে, তাই মিঠাই রানির জন্মদিনে স্পেশাল করে তুলতে কোথাও কোনও খামতি রাখেনি সিড।
এসব দেখেই, বিশেষ করে মিঠাইয়ের প্রতি সিডের ভালোবাসা, যত্ন দেখে রাগে, হিংসায় একেবারে গা জ্বলে যাচ্ছে তোর্সার। তাই শুরু থেকেই মিঠাইয়ের জন্মদিন পন্ড করতে একের পর এক ‘শয়তানি’ করে যায় তোর্সা। তার জন্য কখনও মিঠাইয়ের নাম লেখা বার্থডে কেক খেয় নেয়, আবার কখনও সিডকে মিথ্যে কথা বলে সাইট ভিজিটে পাঠায়।
ইতিমধ্যেই টিভির পর্দায় দেখা গিয়েছে সেই পর্ব। তবে টেসের একের পর এক এই ‘শয়তানি’ গুলো বুঝতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে PCG -এর চাকরি ছেড়ে দিয়ে বাড়ি চলে আসে সিড। তবে সকাল হতেই বাড়ি এসে সিডের এই চাকরি ছাড়া নিয়ে তুমুল অশান্তি শুরু করে দেয় তোর্সা। বাড়ির বড়দের সামনেই যা নয় তাই বলে অপমান করতে থাকে মিঠাই কে। এমনকি অভিযোগ করে মিঠাই রানির জন্যই আজ বেকার সিড।