করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে ও করোনা ভাইরাসের ছড়ানো কমাতে লকডাউনের পথে হেঁটেছে রাজ্য। গত বছরের মত কড়াকড়ি না থাকলেও লকডাউনের ছবিটা প্রায় একই রকম দোকানপাঠ থেকে শুরু করে অফিস সবই বন্ধ। লকডাউনের জেরে বন্ধ টলিপাড়াও, যার ফলে বন্ধ সিরিয়ালের শুটিং। বর্তমানে বাড়ি থেকেই মোবাইলে ভিডিও রেকর্ড করে কাজ চালাচ্ছে টলিপাড়া। কিন্তু লকডাউনবিধি উলঙ্ঘনের অভিযোগ উঠল মিঠাই সিরিয়ালে বিরুদ্ধে।
জি বাংলার মিঠাই সিরিয়াল বর্তমানে সর্বোচ্চ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে দর্শকমহলে। বিগত ৬ সপ্তাহ ধরে ব্যাক টু ব্যাক টিআরপি তালিকায় প্রথম সিরিয়ালটি। মোদক পরিবারে নিপা রাতুলের বিয়ের পর্ব থেকে শুরু করে সেই বিয়ে ভেঙে শ্রীতমা রাতুলের বিবাহ পর। এরপর মিঠাই-সিদ্ধার্থের ডিভোর্সের পর্ব চলছে বর্তমানে। আর এর জেরেই দর্শকদের রীতিমত হাতের আঙ্গুল কামড়ানোর মত পরিস্থিতি। সত্যিই কি মিঠাইকে ডিভোর্স দেবে সিদ্ধার্থ।
টানটান উত্তেজনার মধ্যে রয়েছে দর্শকেরা। লকডাউনের জেরে টলিপাড়া বন্ধ থাকায় শুটিং বন্ধ সমস্ত সিরিয়ালের। কিন্তু বিগত দু সপ্তাহ ধরে সিরিয়ালের নতুন পর্বই দেখানো হচ্ছে। মাঝে কিছু বাড়িতে শুটিং করা দৃশ্য দেখা গেলেও শুটিং করা পর্ব এখনো দেখতে পাওয়া যাচ্ছে মিঠাই সিরিয়ালে। শুটিং বন্ধ থাকায় যেখানে বাকিদের বাড়ি থেকে শুটিং চালানো হচ্ছে সেখানে মিঠাই কি করে নতুন পর্ব দেখিয়ে যাচ্ছে? এবার এই নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
করোনা বিধি উলঙ্ঘন করেই কি তবে চলছে সিরিয়ালের শুটিং? টপ সিরিয়াল হওয়ার জেরেই কি এই সিদ্ধান্ত চলেন কর্তৃপক্ষের ? এই নিয়ে নানান জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে ইতিমধ্যেই। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে যেমনটা জানা যাচ্ছে সিরিয়ালের অভিনেতা অভিনেত্রীদের জিজ্ঞাসা করে এর মিশ্র প্রতিক্রিয়া মিলেছে। কারোর মতে ১৫ই মে এর পর শুটিং বন্ধ বাড়িতেই শুট করছি। আবার সিরিয়ালের মূল চরিত্র মিঠাই অভিনেত্রী সৌমিতৃষাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি এব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সৌমিতৃষার মতে এব্যাপারে চ্যানেলের সাথে যোগাযোগ করলেই ভালো হয়। ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে যে সিরিয়ালের সিদ্ধার্থ অর্থাৎ অভিনেতা আদৃত রায়ের বাড়ির সামনেই নাকি অল্প কিছু টেকনিশিয়ান নিয়ে চলছে শুটিং। যদিও এবিষয়ে কোনো পাকা খবর পাওয়া যায়নি। তবে সমস্ত ব্যাপারটা চ্যানেল কর্তৃপক্ষ যদি ক্লারিফিকেশন দেন তাহলেই বোঝা যাবে।