এই মুহূর্তে বাংলার সিরিয়াল প্রেমীদের সুখে,দুঃখে,মিষ্টি মুখে ঘুরছে একটাই নাম,তার নাম ‘মিঠাই’ (Mithai)। তাই সিরিয়ালপ্রেমী অথচ মিঠাই দেখেন না এমন দর্শকদের সংখ্যা প্রায় নেই বললেই চলে। আসলে মিঠাই এমন একটা সিরিয়াল যার হাত ধরে বাঙালি দর্শকরা ফিরে পেয়েছেন একান্নবর্তী বাঙালি পরিবারের পুরনো মাধুর্য।মনোহরার মোদক পরিবারের বৌমা মিঠাইরানিই দর্শকদের নতুন করে জানতে এবং বুঝতে শিখিয়েছে পরিবার শব্দ টার আসল অর্থ।
তাই টিআরপি তালিকায় যে পজিশনেই থাক না কেন শুরুর দিন থেকেই কিন্তু দর্শকদের কাছে কিন্তু ‘মিঠাই ইজ দ্য বেস্ট’। দর্শকমহলে এই সিরিয়ালের জনপ্রিয়তা সম্পর্কে নতুন করে কিছুই বলার নেই। টানা ৪৭ সপ্তাহ ধরে বেঙ্গল টপারের মুকুট নিজেদের দখলে রাখা কিন্তু মুখের কথা নয়। অথচ একসময় এই অসাধ্যসাধনটাই করে দেখিয়েছিল মিঠাইয়ের গোটা টিম।
এখন টিআরপিতে প্রতিবার প্রথম না হলেও টপ লিস্টের শুরুর দিকেই থাকে এই সিরিয়াল। এইভাবেই দর্শকদের ভালোবাসায় দেখতে দেখতে ৫০০ পর্ব (500 Episode) ছুঁয়ে ফেলেছে এই ধারাবাহিক। আর এখন তো মিঠাইতে চলছে একের পর দুর্ধর্ষ সব পর্ব। এই সিরিয়ালের যারা নিয়মিত দর্শক তারা সকলেই জানেন এখন সিরিয়ালে চলছে ওমিপ্রাজল আগারওয়াল এবং পিশেমশাইয়ের পর্দা ফাঁসের পর্ব।
গতকালই টিভিতে সম্প্রচারিত হয়েছে সেই বিশেষ পর্ব। সেখানেই মিঠাই ভক্তদের মন ছুঁয়েছে একটি বিষয়। ওমি আগারওয়াল (Omi Agarwal) আর পিশেমশাইয়ের (Pishemoshai) পর্দা ফাঁসের আগে সিদ্ধার্থ (Sidhartha) এবং মনোহরার গোটা পরিবারের গল্প মিঠাইয়ের মুখে শোনার পাশাপাশি তা অভিনব স্যান্ড আর্টের (Sand Art) মাধ্যমে প্রজেক্টরে দেখিয়েছে অ্যাঞ্জি (Angi)। যা থেকে দাদু, ঠাম্মা,পিপি সহ সকলের একেবারে পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে।
তবে মিঠাই ভক্তদের দাবি বাংলা টেলিভিশনের ইতিহাসে এই প্রথম মিঠাইতেই এমন স্যান্ড আর্টের ব্যবহার দেখা গেল। যা এতদিন আমরা শুধু মাত্র দেখে এসেছি কোনো বড় সড় রিয়ালিটি শোতে। সেই স্যান্ড আর্টের মাধ্যমে মনোহরার মোদক পরিবারের সুখ দুঃখের নানান মুহুর্ত থেকে শুরু করে অচেনা শত্রুদের পর্দা ফাঁস করে এদিন দর্শকদের চোখে জল এনে দিয়েছে মিঠাইরানি।