বয়স ২ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও কিন্তু বাংলা জুড়ে রমরমিয়ে চলছে ‘মিঠাই’ (Mithai)। জনপ্রিয়তায় আঁচ পড়েনি এক ফোঁটাও। হাসি-খুশি একান্নবর্তী বাঙালি পরিবারই এই সিরিয়ালের মূল ইউএসপি। শুরু থেকেই মিঠাই চরিত্রে সৌমিতৃষা কুন্ডু (Soumitrisha Kundu) এবং সিদ্ধার্থ চরিত্রে আদৃত রায়ের (Adrit Roy) অভিনয় পাকাপাকি ভাবেই জায়গা করে নিয়েছে দর্শকমহলে।
এই সিরিয়ালের প্রত্যেক সদস্যদের সাথে ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে রয়েছে দর্শকদের আবেগ। সময়ের সাথে হয়তো সিরিয়ালের টি আর পি কমেছে ঠিকই, কিন্তু আজও দর্শকদের মনের সিংহাসনে রাজ করছে এই সিরিয়াল। বিশেষ করে এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের সবচেয়ে পুরনো সিরিয়াল হয়েও যেভাবে নতুন সিরিয়ালের ভীড়ে নিজেদের জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে মিঠাই তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
তাই মিঠাই শেষ হওয়ার জল্পনা কানে আসতেই ভক্তদের দাবি ‘গুজবে কান দেবেন না’। আসলে গত এক বছরে যখন থেকে সিরিয়ালের একটু কমতে শুরু করেছে কিংবা সম্প্রচারের সময় বদলেছে তখনই ডানা মেলেছে মিঠাই শেষের গুঞ্জন। যা নিয়ে সম্প্রতি রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও পরবর্তীতে সিরিয়ালের পরিচালক রাজেন্দ্র প্রসাদ দাস মুখ খোলায় কিছুটা হলেও আশ্বস্ত হয়েছেন মিঠাই ভক্তরা।
আসলে ইদানিং অল্পদিনেই সিরিয়াল শেষ হওয়ার ট্রেন্ডে মিঠাই ব্যতিক্রম। তাই দর্শকদের অনেকেই বলছেন অহেতুক গল্প না বাড়িয়ে মিঠাই শেষ করা উচিত। কিন্তু অনুরাগীদের একাংশের ডাব ছিল এখনও মিঠাই শ্রী-রাতুল কিংবা, সোম-তোর্সার গল্প দেখানো বাকি। এবার দর্শকদের সেই দাবি মেনেই দেখানো হচ্ছে রাতুল শ্রীর ট্র্যাক।
এখন তারা দুজনেই প্রফেসর। আর এবার এক কলেজের ছাত্রীকে নিয়ে রাতুল শ্রীর মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে কথাকাটি। সম্প্রতি সিরিয়ালের একটি ছোট ভিডিওতে দেখা গিয়েছে রাতুলকে রাতে ফোন করে নিজের অস্বস্তি কিংবা ভয় লাগার কথা জানাচ্ছে পায়েল নামের এক ছাত্রী।
এমনকি ওই রাতে তার সাথে দেখা করার আবদারও জানায় সে। এসব দেখেশুনে নিজের মাথাটা কিছুতেই ঠিক রাখতে পারছে না শ্রী। এই নিয়ে সম্প্রতি তাদের মধ্যে বেশ ভালো রকমের কথা কাটাকাটিও শুরু হয়ে গিয়েছে।