বাংলার সিরিয়ালপ্রেমী দর্শক মানেই এখন ‘মিঠাই’ অন্ত প্রাণ। তাই ড়ির কাঁটায় রাত আটটা বাজতেই জি বাংলার পর্দায় ‘মিঠাই’ (Mithai) দেখতে বসে যাওয়া এখন সিরিয়াল প্রেমীদের কাছে একপ্রকার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তাই দর্শকদের ভালোবাসা আর গোপালের আশীর্বাদ এই দুইয়ের ওপর ভর করে একটানা ৪৩ সপ্তাহ ধরে সেরার শিরোপা জিতে চলেছে মিঠাইয়ের মোদক পরিবার।
তাই মিঠাইকে টিআরপি তালিকা থেকে সরায় কার সাধ্যি! তবে বেশ কিছুদিন ধরেই সিরিয়ালের কোনো নতুন প্রোমো না আসায় দর্শকদের মধ্যে তৈরি হতে শুরু করেছিল চাপা ক্ষোভ। তাই দর্শকদের অভিমান দূর করতে সিরিয়ালে আবার এসেছে নতুন চমক। ইতিমধ্যেই সিরিয়ালে দেখা গিয়েছে বিনা দোষে দিনের পর দিন সবাই মিলে ভুল বুঝে আসছেন সমরেশকে।
সোমের মা আর সমরেশের ডাক্তার বন্ধুর নোংরা ষড়যন্ত্রের শিকার বাড়ির বড় বাবু। বিনা দোষে দিনের পর দিন তাকে ভুল বুঝেছেন সবাই। এমনকি সিদ্ধার্থের মাও শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত ভুল বুঝে গিয়েছেন তাকে। এসবের মধ্যেই ফের একবার বাড়ির এই গোপনীয় বিষয় তুলে সকলের সামনে দাদাই অপমান করে যায় মোদক গ্রুপের চির শত্রু ওমি আগরওয়াল।
তারপর থেকেই মাথার ঠিক থাকে না সিদ্ধার্থের। চোখের সামনে দাদুর অপমান দেখার পর থেকেই রাগে মাথায় আগুন জলতে শুরু করে তার। যা নয় তাই বলে অপমান করে নিজের বাবাকে। এসবের মধ্যেই মিঠাইয়ের চোখে পড়ে যায় এক অদ্ভুত ঘটনা।গাড়িতে বসে সোমের মায়ের হাতে টাকা তুলে দিতে দেখে মিঠাই।
এরপরেই পুলিশ দাদার সাহায্য নিয়ে বড় বাবুর ডি এন এ টেস্টের রিপোর্ট জানতে প্যাথোলজি ল্যাবে যায় সকলে। রাতের অন্ধকারে রাতুলের সাহায্য পুরনো ডকুমেন্ট রিস্টোর করে ডিএনএ টেস্টের আসল রিপোর্ট টেনে বার করে আনে মিঠাই। যা দেখে মুখ বন্ধ হয়ে যায় উচ্ছেদ বাবুর। এরপরেই সকালে বাড়ি গিয়েই বাবা সমরেশের সামনে সে জানায় সোম আসলে মোদক বাড়ির ছেলে নয়।