আজ থেকেই প্রথম টিভির পর্দায় রাত আটটার বদলে সন্ধে ছটা থেকে সম্প্রচারিত হয়েছে জি বাংলার জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘মিঠাই’ (Mithai)। তবে সিরিয়ালের নায়িকা মিঠাই রানীর মৃত্যুর সাথে সাথে এক ঝটকায় বদলে গিয়েছে সিরিয়ালের গল্প, এসেছে নতুন মোড়। সময়ের নিয়ম মেনে কোন কিছু আর থেমে নেই ঠিকই তবে মনোহরাও নেই আর আগের মত।
মোদক বাড়ির মিষ্টি বৌমা মিঠাইরানির অকাল মৃত্যুর পর এখন সিরিয়ালের গল্প এগিয়ে গিয়েছে বেশ কয়েক বছর। আজকের পর্বেই দেখা গিয়েছে সিরিয়াল লীপ নেওয়ার সাথে সাথেই শ্রী, রুদ্র, নিপা নন্দা সকলের লুকেই এসেছে একটা বিরাট পরিবর্তন। সেই সাথে দেখা গিয়েছে মনোহারায় এসেছে এক নতুন সদস্য। সে হলো নিপার মামাতো বোন সৌমি।
ছোট কাকি অর্থাৎ নিপার মা মনে করেন শাক্যকে বড় করতে তার একজন মায়ের দরকার। তাই এই সৌমির সাথেই সে আবার বিয়ে দিতে চায় সিদ্ধার্থকে। কিন্তু সে কথা খুব একটা কানে নিতে নারাজ বাড়ির কেউই। এমনকি একসময়ের মিঠাইরানির শত্রু তার বড়জা তোর্সা পর্যন্ত মনে করে মিঠাইরানির জায়গা কেউই কোনদিন নিতে পারবে না।
অন্যদিকে শাক্যবাবুও দেখতে দেখতে বেশ বড় হয়ে উঠেছে। সেই সাথে বেড়েছে তার দুষ্টুমি। ইতিমধ্যেই এক এক করে তার দুষ্টুমির জেরে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে ১০ জন টিচার। আর তাই এমন দুষ্টু ছেলেকে কড়া শাসনে মানুষ করতে গিয়ে একেবারে নাজেহাল সিদ্ধার্থ। এছাড়া মিঠাইরানির মৃত্যুর পর সে তার ছবির সামনে দাঁড়িয়ে শপথ নিয়েছিল তার খুনিদের শাস্তি দেওয়ার জন্য পুলিশে যোগ দেবে সে। সেই কথা রাখতে ইতিমধ্যেই ট্রেনিং নিয়ে পুলিশের চাকরিতে জয়েন করেছেন সিড।
আজই ধারাবাহিকে দেখা গিয়েছে বরফে ঢাকা ধবধবে সাদা পাহাড়ের সামনে থেকেই মিঠির সাজে ধরা দিয়েছে হুবহু মিঠাইরানির মত দেখতে নতুন নায়িকা। সিরিয়ালের এই দৃশ্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে ব্যাপক ট্রোলিং। তবে ধারাবাহিকের এই অংশ দেখে কারোরই বুঝতে অসুবিধা হয়নি পাহাড়েরওই দৃশ্যের সবটাই গ্রাফিক্সে করা। কিন্তু তা ছিল একেবারে পাতি এডিটিং।
এই দৃশ্যের ছবি শেয়ার করে জি বাংলার মিঠাই সিরিয়ালের নির্মাতাদের উদ্দেশ্যে ট্রোল করে একজন নেটিজেন লিখেছেন ‘ঝি বাংলার কার্টুন সিরিয়াল। সস্তার গ্রাফিক্স দেখে তো তাই মনে হচ্ছে। বর্তমানে অবশ্য কার্টুনের গল্প এর থেকে ভালো’। এরপরেই হ্যাশট্যাগ দিয়ে লিখেছেন ‘ন্যাকাই ,মিঠাই ‘। যা দেখে কেউ লিখেছেন ‘ওটা কি সস্তার কাঞ্চনজঙ্ঘা’? আবার কেউ লিখেছেন ‘বলতে খারাপ লাগছে কিরণমালার পিশাচিনীর মতো লাগছে।