বাংলার এক নম্বর সিরিয়ালের কথা উঠতেই সবার মুখে ঘোরে একটাই নাম তা নিঃসন্দেহে জি বাংলার মিঠাই সিরিয়াল। দর্শকদের ভালোবাসা পেয়ে প্রতি সপ্তাহেই বেঙ্গল টপারের মুকুট নিজেদের দখলেই রেখেছে মিঠাইয়ের মোদক পরিবার। এবে মিঠাই শুধুমাত্র এপার বাংলারই নয় সেইসাথে ওপার বাংলা অর্থাৎ বাংলাদেশের মানুষের কাছে অত্যন্ত প্রিয় একটি সিরিয়াল।
তাই পদ্মাপাড়ের ঘড়ির কাঁটায় সাড়ে আটটা (বাংলাদেশের সময়) বাজতেই বাড়ির সকলে মিলেই তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করেন মিঠাইরানি আর উচ্ছেবাবুর মিষ্টি প্রেমের গল্প। কিন্তু রবিবার রাতের এপিসোড দেখতে বসেই মন খারাপ হয়ে গেল ওপার বাংলার দর্শকদের একটা বড় অংশের। এমনকি রাগে, ক্ষোভে সিরিয়াল বন্ধের ডাক দিয়েছেন দর্শকরা।
আসলে ঘটনার সূত্রপাত হয় সিরিয়ালে দেখানো সিদ্ধেশ্বর মোদকের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে। ইতিমধ্যেই সিরিয়ালে দেখা গিয়েছে মোদক পরিবারের ক্ষতি করতে এবার মিঠাইয়ের বড় জার সাথে হাত মিলিয়েছে ওমি আগরওয়াল। তাই সে ঠিক কীভাবে নতুন করে মিঠাই সিদ্ধার্থের জীবনে নতুন বিপদ আনবে তা নিয়ে যখন চিন্তায় দর্শক। তখনই অনুষ্ঠানের রবীন্দ্রসংগীত গাওয়া ঘিরে শুরু সমালোচনার মুখে সিরিয়াল কর্তৃপক্ষ।
আসলে এদিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সঙ্গীত হিসাবে রবীন্দ্র সঙ্গীত তথা বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার কথা জানানো হয় এবং তার পর ‘আমার সোনার বাংলা’টি উপস্থাপন করা হয়। এখানেই বিপত্তির সূত্রপাত। দেখা যায় এই গান পরিবেশনের সময় সকলেই দর্শকাসন বসে রয়েছেন। মিঠাইরানি একপাশে দাঁড়িয়ে মাথা দোলালেও। বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত গাইবার সময়েও উপস্থিত অধিকাংশ দর্শকদেরই চেয়ারে পায়ে পা তুলে বসে থাকতে দেখা যায়।
এতেই আপত্তি বাংলাদেশের দর্শকদের। কেন নূন্যতম সম্মান দেওয়া হল না প্রতিবেশি রাষ্ট্রের জাতীয় সংগীতকে? সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশিরা। এমনকি এই সিরিয়াল বয়কটের ডাকও দিয়েছেন ওপার বাংলার দর্শকরা। এক নেটিজেন লেখেন, ‘ওটা রবীন্দ্রনাথের গান, তাই উদ্বোধনী সংগীত হিসাবে গাইতেই পারে, তাতেও আমার সমস্যা নাই। কিন্তু নাটকের ডিরেক্টর বা অন্য কারও কি মাথায় আসে নি এটা একটা দেশের জাতীয় সংগীত। দেশকে সম্মান দেখাতে না পারুক অন্তত সংগীত চলাকালীন সবাই দারিয়ে সাম্মানটুকুন দিক। আমি ছোট মানুষ , স্বল্প জ্ঞানে এটাই বুঝি সম্মানটুকুন প্রাপ্য। আশা করি দেশে থাকা ইন্ডিয়ার ভক্তকুলগন আমায় একটু বুঝিয়ে দিয়ে বলবেন কারন বা যুক্তি।’