মিঠাই (Mithai) সিরিয়ালে যেন গ্রহণ লেগেছে, একেরপর এক সমস্যা লেগেই রয়েছে মিঠাইয়ের জীবনে। বাড়ির সকলের জন্য নিঃস্বার্থভাবে খেটেও না পেল নাম আর না পেল স্বামী সিদ্ধার্থের থেকে যোগ্য সন্মান। যদিও বাড়ির সকলেই মিঠাই নাম অজ্ঞান, কিন্তু উচ্ছেবাবু, সে তো এখনো মিঠাইকে স্ত্রী হিসাবে মেনে নিতে রাজি নয়! তারপর মিঠাইয়ের বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়া মানতে পারছে না দাদু। তাই শেষে চরম সিদ্ধান্ত নিতেই বাধ্য হলেন।
কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর আগেই মিঠাইয়ের ওপর মোদক পরিবারের মিষ্টি তৈরির রান্নাঘরে আগুন লাগানোর অভিযোগ করা হয়। তোর্সা আর সোমদা মিলে প্ল্যান করে মিঠাইকে জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। মিঠাই জেলে আছে শুনে সিঙ্গাপুর থেকে তড়িঘড়ি বাড়ি ফেরে উচ্চাবাবু। রুডির সাহায্য নিয়ে মিঠাইকে জেল থেকে বের করে আনে সিদ্ধার্থ।
এরপর আসল দোষীর খোঁজ শুরু করে সিদ্ধার্থ আর মিঠাই দুজন মিলে। কিছুদিনের মধ্যেই ধরা পরে মাখনলাল, প্রমাণ হয় মিঠাই নির্দোষ। এরপর সোমদা আর তোর্সাকেও ধরে ফেলে মিঠাই-সিদ্ধার্থ মিলে। কিন্তু এতদিনে মিঠাইয়ের মায়ের কাছে জনাইয়ে খবর পৌঁছে গেছে যে মিঠাইয়ের হাজতবাস হয়েছে। নিজেকে সামলাতে না পেরে মনোহরায় হাজির হয় সে।
মনোহরায় যখন মিঠাইয়ের মা এসে পৌঁছায় তখন জানতে পারে মিঠাইকে ডিভোর্সের পেপারে সই করে দিয়েছে সিদ্ধার্থ। যে বাড়িতে মেয়ের সন্মান নেই বিয়েটাও মানছে না জামাই সে বাড়িতে মেয়েকে রাখতে কোনো মতেই রাজিও নয় তার মা। তাই সকলের কাছে হাত জোর করে অনুরোধ করে মিঠাইয়ে নিয়ে জনাই ফিরে গিয়েছেন তিনি।
বাড়ির সকলকে কাঁদিয়েই মনোহরা ছেড়ে চলে যায় মিঠাই। মিঠাইয়ের চলে যাওয়া কেউই মেনে নিতে পারেনি মন থেকে, বিশেষত দাদু তো একেবারে না। তাই মিঠাই চলে যাবার দুঃখে সংসার ত্যাগী হবার চরম সিদ্ধান্ত নিলেন দাদু।
রাতের অন্ধকারে মনোহরা ছেড়ে চলে গেলেন। আর যাওয়ার আগে রেখে গেলেন একটা চিঠি। সকাল হতেই সকলে বুঝতে পারে যে দাদু বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। এখন দেখার পালা দাদুকে ফিরিয়ে আনতে কি মিঠাইয়ে নিয়ে বাড়ি ফিরবে সিদ্ধার্থ!