মিঠাই (Mithai) সিরিয়ালের জনপ্রিয়তা নিয়ে আলাদা করে বলার কিছুই নেই। বিগত দুমাস ধরে ব্যাক টু ব্যাক টিআরপি তালিকায় প্রথম স্থান দখল করে আসছে মিঠাই। বর্তমানে সিরিয়ালের একত্রে ডাবল টুইস্ট চলছে। একদিনে মিঠাইয়ের ডিভোর্সের কিছুটা দৃশ্য দেখানো হয়েছিল। কিন্তু মিঠাইকে ডিভোর্স দিতে ঠিক মন চাইছে না সিদ্ধার্থের। অন্যদিকে রাতুল ও শ্রীতমার বৈবাহিক সম্পর্ক কেমন যেন জটিল হয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ক্রমেই এগিয়ে আসছে মিঠাই-সিদ্ধার্থর ডিভোর্সের ডেট। ইতিমধ্যেই দুই তরফেরই উকিল ও ঠিক হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ডিভোর্সের আগেই ঘটে যাচ্ছে একাধিক ঘটনা, যেখানে তাদের আলাদা থাকার কথা সেখানে বারংবারই একসাথে আটকা পড়ে যাচ্ছে তুফান মেল আর দাদুর রাগী নাতি। দিন কয়েক আগেও একসাথে রাতে ছাদে আটকা পড়ে গিয়েছিল কর্তা গিন্নি। সেখানে মিঠাইয়ের জন্য সিদ্ধার্থকে গান গাইতেও দেখা গিয়েছে।
কিন্তু যতই বিচ্ছেদের দিন এগোচ্ছে ততই যেন মিঠাইয়ের জন্য মন গলছে সিদ্ধার্থর। সম্প্রতি একটি পর্বে দেখা যাচ্ছে, ডিভোর্সের জন্য কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে সিদ্ধার্থ। আর মিঠাইয়ের জেদ সে কোর্টে যাবে মুন্নি অর্থাৎ তার প্রিয় সাইকেলে। কিন্তু তাতে এক্কেবারে নারাজ সিদ্ধার্থ। সিড কিছুতেই চায়না মিঠাই সাইকেল করে কোর্টে যাক।
এদিকে মিঠাইয়ের ও জেদ সে সাইকেল নিয়েই যাবে। তখনই সিড রেগে আগুন হয়ে যায়। সিডের চিন্তা মিঠাই সাইকেলে গেলেই সে রাস্তায় কোনো দুর্ঘটনা ঘটাবে। কারণ মিঠাইয়ের হাত-পায়ের উপর কোনো কন্ট্রোল নেই৷ মিঠাই তবুও নারাজ, শেষে এক রকম ধমক দিয়েই মিঠাইয়ের হাত ধরে তাকে গাড়িতে উঠতে বাধ্য করে সিদ্ধার্থ।
এর আগেও জাজের সামনে সিদ্ধার্থ বলেই ফেলে মিঠাইয়ের সঙ্গে রাত কাটানোর কথা। জাজ তখন প্রশ্ন করেন, ‘কি! ডিভোর্স কেস চলাকালীন আপনারা এক ঘরে রাত কাটিয়েছেন? ’জাজের মুখে এই কথা শুনে মিঠাই বা বলে উঠেছে, ‘ একসাথে রাত কাটানোর কথাটা বলে দিলেন! এবার ডিভোর্সটা কি করে হবে’! তাহলেই বুঝুন, এমন ডিভোর্স কেস কেউ কোনোদিন দেখেছে কি না তা বলা যাবে না। যদিও দর্শকরা কখনোই চায় না মিঠাই সিদ্ধার্থর ডিভোর্স হয়ে যাক। এবার কেবল অপেক্ষা করার পালা শেষ পর্যন্ত কি সত্যিই বিচ্ছেদ হয়ে যাবে তুফান মেল আর উচ্ছে বাবুর?