বাংলা সিরিয়াল প্রেমিকদের ঘরে ঘরে এখন একটাই নাম ‘সুখে-দুখে মিষ্টিমুখে মিঠাই’। তাই প্রতিদিন ঘড়ির কাঁটায় রাত আটটা বাজতেই সবাই সবার হাতের সমস্ত কাজ সেরে টিভির সামনে বসে যান ‘মিঠাই’ (Mithai) দেখতে । বাঙালিয়ানায় ভরপুর মনোহরার হাসি মজায় ভরপুর মোদক পারিবারের প্রেমে পড়ে গিয়েছেন সকলে। তাই শুরুর দিন থেকে আজ পর্যন্ত এই সিরিয়ালের প্রতিটি পর্বই চুটিয়ে উপভোগ করেন দর্শকরা,মিস করেননাএকটাও পর্ব।
তাছাড়া মিঠাই পাগল দর্শকরা তো শুধু এই সিরিয়াল দেখেন না সেইসাথে এই সিরিয়ালের প্রতিটা পর্ব রীতিমতো তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করেন। তাই এই সিরিয়ালটা যে আর পাঁচটা সিরিয়ালের তুলনায় একেবারেই আলাদা একথা কিন্তু যেকোনো সিরিয়ালপ্রেমী দর্শকরাই স্বীকার করবেন এক বাক্যে।
এই সিরিয়ালের অন্যতম ইউএসপি হল একসাথে মিলেমিশে থাকা ঐতিহ্যবাহী একান্নবর্তী বাঙালি পরিবার।একাধিক পজেটিভ চরিত্রের আড়ালে সাংসারিক কূটকচালি প্রায় নেই বললেই চলে। তাই দর্শকরা মনে করেন একেবারে ভিন্ন স্বাদের এই সিরিয়াল পরিবারের পাঁচ জনের সাথে বসে দেখা যায়।তাই একেবারে শুরু থেকেই দর্শকদের মনে রাজত্ব করে চলেছেন এই সিরিয়ালের নায়িকা মিঠাইরানী। এই কারণেই দর্শকদের ভালোবাসায় প্রথম থেকেই টিআরপিতে দুর্দান্ত রেজাল্ট করে আসছে এই সিরিয়াল।
মাঝখানে কিছুদিন যদিও স্টার জলসার খড়ির কাছে কাছে প্রথম স্থান হারাতে হয়েছিল কিন্তু গত সপ্তাহেই নিজের হারানো বেঙ্গল টপারের শিরোপা আবার নিজের দখলে নিয়ে এসেছে মিঠাইরানী। তাছাড়া এখন মনোহরার মোদক বাড়িতেও বইছে খুশির হাওয়া। মাঝেমধ্যেই ‘সিধাই মোমেন্ট’ দেখেও বেজায় খুশি দর্শকরাও। এছাড়া নিত্যনতুন চরিত্রের আগমনে সিরিয়ালের গল্প জমে উঠেছে আরও। এরই মধ্যে বিশেষ সুখবর এল মিঠাই ভক্তদের জন্য।
View this post on Instagram
একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের তরফে প্রকাশিত মাসিক জনপ্রিয়তার নিরিখে গোটা দেশে সেরা বাংলা সিরিয়ালের তালিকায় প্রথম স্থানেই (First Position) উঠে এসেছে মিঠাই অভিনেত্রীর নাম। জানা যাচ্ছে এই মাসিক রেজাল্ট মে মাসের। বাংলার এই সেরা সিরিয়াল গুলির তালিকায় জি বাংলার মিঠাইয়ের পরেই দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে ষ্টার জলসার খড়ি, তৃতীয় স্থানে রয়েছেন সহচরী আর আশ্চর্য ভাবে সিরিয়াল শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও চতুর্থ স্থানে রয়েছে খুকুমণি এবং প্রথমবার পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে মন ফাগুনের পিহু। প্রসঙ্গত বিগত ১৩ মাস ধরে এই সেরার শিল্প পাচ্ছে মিঠাই। তাই এখন মিঠাই ভক্তদের কিন্তু আনন্দের সীমা নেই।