শুরু থেকেই দর্শকদের একেবারে পাকাপাকি পছন্দের তালিকায় রয়েছে ‘মিঠাই ‘ (Mithai)। সম্প্রতি জমজমাট হানিমুন পর্ব সেরে বাড়ি ফিরেছে উচ্ছেবাবু ও মিঠাই। দাদাই আর ঠাম্মির সাথে মিরিকে হানিমুনে গিয়েছিল দুজনে। অবশ্য সাথে হল্লাপার্টিও যোগ দিয়েছিল। সেখানেই মিঠাইয়ের আর দর্শকদের বহুদিনের ইচ্ছা পূরণ হয়েছে। পাহাড়ের মাঝে সবার সামনেই মিঠাইকে আই লাভ ইউ বলেছে সিদ্ধার্থ। যেটা শুনে খুশিতে আত্মহারা মিঠাই, আর উচ্ছসিত দর্শকেরাও।
এই মুহুর্তে মিঠাইকে এক্কেবারে চোখে হারাচ্ছে উচ্ছেবাবু৷ বাড়ি ফিরতেই আরেক হল্লার আয়োজন তৈরী ছিল মিঠাই-সিদ্ধার্থের জন্য। মিঠাইয়ের হাতে ভিকট্রি ট্রফি তুলে দিয়েছে বাড়ির বাকিরা। এরপর সবাই মিলে জোর করতে সবার সামনেই আবারও মিঠাইকে মনের কথা জানায় সিদ্ধার্থ। বলে দাদাই ঠাম্মির মত সেও চায় মিঠাইয়ের সাথেই বুড়ো হতে। উচ্ছেবাবুর মুখে এই কথা শুনে লজ্জায় লাল মিঠাই।
এই সবে সবে যখন মিঠাই আর সিদ্ধার্থের ভালোবাসা একটু জমজমাট হয়েছে ঠিক তখনই আতঙ্কে কাঁটা দর্শকেরা৷ আসলে সম্প্রতি জি বাংলার অফিশিয়াল পেজ থেকে সিদ্ধার্থ এবং মিঠাইয়ের একটি ছবি শেয়ার করা হয়েছে যা দেখেই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে সকলের কপালে। সাথে ক্যাপশনেও এমন এক রহস্য রয়েছে যার জেরে মনে হচ্ছে ঘনিয়ে আসছে ‘মিঠাই’য়ের শেষ।
এদিনের এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে একেবারে বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছে উচ্ছেবাবু আর মিঠাই। সিডের চুল দাড়িতে ধরেছে পাক, মিঠাইয়েরও লম্বা বিনুনির বদলে দেখা যাচ্ছে ছোট ছোট পাকা চুল। সিডের চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা। শাড়ি ছেড়ে মিঠাইয়ের পরনে চুরিদার, আর চোখে রিমলেস চশমা। আর এই ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘মিঠাই – সিদ্ধার্থের বয়স ৪০ বছর পেরিয়ে গেলো নাকি?’
অর্থাৎ সিনেমা বা সিরিয়ালে যেমন একলাফে অনেক বছর এগিয়ে দেওয়া যায় মিঠাইয়ের ক্ষেত্রেও তেমনটাই হল নাকি? এই চিন্তায় ঘুম উড়েছে দর্শকদের। একাংশের দাবি, মিঠাই শেষ হয়ে তবে ‘গৌরী এলো’ আসবে৷ কিন্তু অনেকেই বুঝেছেন, এটি আসলে সিড মিঠাইয়ের ছদ্মবেশ৷ নিপা এবং রুদ্রকে মিল করাতেই নাকি এমনটা সেজেছেন তারা। আসল ঘটনা জানতে চোখ রাখতে হবে জি বাংলার পর্দায়।