বাংলা টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিকগুলির মধ্যে একটি হল ‘মিঠাই’ (Mithai)। সৌমিতৃষা কুণ্ডু, আদৃত রায় অভিনীত এই ধারাবাহিকের টিআরপিও আকাশছোঁয়া। অগুনতিবার বেঙ্গল টপার হয়েছে ‘মিঠাই’। এই ধারাবাহিকে অভিনয় করেই দর্শকদের ঘরের মেয়ে হয়ে গিয়েছেন সৌমিতৃষা (Soumitrisha Kundu)। দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য জিতেছেন একাধিক পুরস্কার।
সব মিলিয়ে বলতে গেলে, মিঠাই চরিত্রে অভিনয় করে একেবারে লেটার মার্কস-সহ পাশ করেছেন সৌমিতৃষা। তবে এ তো না হয় গেল, অভিনয়ে কত নম্বর পেয়েছেন সেকথা। কিন্তু বাস্তবে মিঠাইরানী পড়াশোনায় (Academic life) কেমন জানেন? সম্প্রতি পড়াশোনা নিয়ে প্রথমবার মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী।
জানিয়ে রাখি, পর্দার ‘মিঠাই’ কিন্তু বাস্তবেও ছাত্রী হিসেবে নেহাত মন্দ নন। ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্রে কাজ করার চাপ সামলেও চালিয়ে যাচ্ছেন পড়াশোনা। কাজের চাপে সাময়িকভাবে কলেজ ছাড়তে হলেও, ফের সামলে উঠে পড়াশোনা মনোযোগ দিয়েছেন সৌমিতৃষা।
মিঠাইরানী একসময় তাঁর পরিবারের সঙ্গে বারাসাতে থাকতেন। বারাসাত গার্লস হাই স্কুলে পড়াশোনা করেছেন অভিনেত্রী। একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে কলা বিভাগের ছাত্রী ছিলেন তিনি। উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর কলকাতার সেন্ট পলস কলেজে ইংরেজিতে স্নাতক স্তরের পড়াশোনার জন্য ভর্তি হয়েছিলেন সৌমিতৃষা। কিন্তু কাজের প্রচুর চাপ থাকার কারণে সাময়িকভাবে কলেজ ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে।
এই বিষয়ে সৌমিতৃষা বলেন, ‘পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গেই আমি অভিনয়ও করছিলাম। কিন্তু বাড়ি থেকে এরপর বলা হয়, যে কোনও একটা কাজ মন দিয়ে করতে। তাই সেই মুহূর্তে অভিনয়ে পুরোপুরি মন দিয়েছিলাম’। তবে তখন পড়াশোনা থেকে সাময়িকভাবে বিরতি নিলেও, এখন মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় তথা ওপেন ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক করছেন সৌমিতৃষা। গত বছর কাজের চাপ থাকায় পরীক্ষা দিতে পারেননি তিনি। তবে এবার পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে দিয়েছেন অভিনেত্রী।
তবে পর্দার ‘মিঠাই’এর মতে, শুধুমাত্র স্কুল কিংবা কলেজ থেকেই নয়, তিনি প্রতি মুহূর্তে তাঁর সহকর্মীদের থেকেও অনেককিছু শিখছেন। অভিনেত্রী বলেন, ‘মিঠাইয়ে কাজ করার সুবাদে আমি অনেক কিছু শিখেছি। বিশ্বজিৎ (চক্রবর্তী) আঙ্কেল, অর্পিতা (মুখোপাধ্যায়) দি, স্বাগতা (বসু) দিরা আমায় কত কিছু শিখিয়েছেন! সেটে হইহুল্লোড় করলেও কীভাবে মন দিয়ে নিজের কাজটা করা যায় তা ওঁদের থেকেই শিখছি। এত বড় মাপের শিল্পী হওয়া সত্ত্বেও কী সুন্দর সকলের সঙ্গে মিশে যেতে পারেন ওঁরা’।