ইদানীং বাংলার সিরিয়াল প্রেমী দর্শক মানেই ‘সুখে, দুঃখে মিষ্টি মুখে ‘মিঠাই’ (Mithai)। এই সিরিয়ালের হাত ধরেই বহুদিন পর বাঙালি খুঁজে পেয়েছে হারিয়ে যাওয়া হাসি খুশি একান্নবর্তী বাঙালি পরিবারের একজোট হয়ে থাকার গল্প। তাই দর্শকরাও নতুন করে জানতে এবং বুঝতে শিখেছেন পরিবার শব্দ টার আসল মানে। শুরুর দিন থেকেই কিন্তু দর্শকমহলে কিন্তু অব্যাহত মিঠাই ম্যাজিক।
সিরিয়ালের নায়িকা মিঠাই অন্ত প্রাণ দর্শকদের। তাই নায়িকাকে নিয়ে পান থেকে চুণ খসলেই তা নিমেষে জায়গা পায় সংবাদ শিরোনামে। অনস্ক্রিন মিঠাই চরিত্রে সৌমিতৃষা কুন্ডুর (Soumitrisha Kundu) অভিনয় আগেই মন ছুঁয়েছে দর্শকদের। তাই শুধু পর্দায় নয় পর্দার বাইরেও প্রিয় নায়িকার জীবনের সমস্ত আপডেট চাইই চাই মিঠাই ফ্যানদের।
তাই মিঠাই ফ্যানরা কি মিঠাইরানির জীবনের সবচেয়ে ভরসার মানুষটির খোঁজ জানেন! তাও আবার সেই মানুষটি নাকি মনোহরার মোদক পরিবারের সদস্য। কি ভাবছেন কার কথা হচ্ছে? তবে থাক আর হেঁয়ালি না করে খোলসা করে বলাই যাক আসল ঘটনা। ইদানীং পর্দার পিসি শ্বাশুড়ি চরিত্রের অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) সাথে দারুন ভাবে জমেছে মিঠাই অভিনেত্রী সৌমিতৃষার।
একথা আমরা নই নিজের মুখেই জানিয়েছেন নায়িকা। সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রামে স্টোরিতে সিরিয়ালের মেক আপ রুমে বসে অর্পিতার সাথে মিষ্টি একটি মুহুর্ত শেয়ার করে দুটি ভালোবাসার ইমোজি দিয়ে সৌমিতৃষা লিখেছিলেন ‘কাছের মানুষ। আমার ভরসার মানুষ’। এই স্বীকারোক্তির সঙ্গেই জুড়ে দিয়েছেন একটি লাল হৃদয়ের ইমোজি। ইদানীং আকশছোঁয়া জনপ্রিয়তার মাঝেই মিঠাইরানির সাথে নতুন করে জুড়ে গিয়েছে ত্রিকোণ প্রেমের জল্পনা।
আসলে বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে সিরিয়ালের নন্দা অভিনেত্রী কৌশাম্বী চক্রবর্তীর (Kaushambi Chakraborty) সাথে সিদ্ধার্থ অভিনেতা আদৃত রায়ের (Adrit Roy) প্রেমের গুঞ্জন।টেলিভিশন পাড়ার অন্দরের খবর তাতেই গোঁসা হয়েছে পর্দার মিঠাইরানির। সেই রাগের চোটেই নাকি আদৃতের জন্মদিনে শুভেচ্ছা পর্যন্ত জানাননি সৌমি। এখানেও শেষ নয় সহ অভিনেত্রী কৌশাম্বী কে সোশ্যাল মিডিয়ায় আনফলো করায় আরও জোরদার হয় জল্পনা।
সেই জল্পনার আগুনে একপ্রকার ঘৃতাহুতীর মতো অভিনেত্রী সৌমিতৃষা কুন্ডু সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে অভিনেত্রী বলেছেন ‘দুটো মানুষ সম্পর্কে আছে না নেই, সেই চর্চার মধ্য়ে আমি কী ভাবে ঢুকছি।’ সেইসাথে তিনি জানান আদৃতের উইশ না করার অর্থ এই নয় তাদের মধ্যে সমস্যা আছে। সেইসাথে ত্রিকোণ প্রেমের জল্পনা প্রসঙ্গে সৌমিতৃষা বলেছেন ‘আমি এ সব নিয়ে কখনওই কিছু ভাবি না। আসলে পাঁঠার মাংস রাঁধার সময় বেশি মশলা দিলে যেমন স্বাদ বেশি হয়, ঠিক তেমনই দু’জনের প্রেমের গল্পে তৃতীয় ব্য়ক্তিকে টেনে আনলে মানুষের আগ্রহ বেড়ে যায়।’