মিঠাই (Mithai) সিরিয়ালের জনপ্রিয়তা নিয়ে আলাদা করে কোনো কথাই বলতে লাগে না। শুরু থেকেই জনপ্রিতা বাড়তে বাড়তে বর্তমানে চরমে পৌঁছেছে জনপ্রিয়তা। কিন্তু এবার মিঠাই অভিনেত্রী সৌমিতৃষা কুণ্ডুকে (Soumitrisha Kundu) নিয়েই শুরু হল দড়ি টানাটানি। কিন্তু হটাৎ কি এমন হল? এইটাই প্রশ্ন অনেকের। সেই প্রশ্নের উত্তর নিয়েই হাজির হয়েছি আজ।
আসলে জনপ্রিয় অভিনেতা অভিনেত্রীদের নিয়ে নেটপাড়ায় ভক্তদের মধ্যে গোল এই প্রথম নয়। এর আগেও তারকাদের নিয়ে টানাটানির ঘটনা ঘটেছে। তোৰ এইবারে সেটা ঘটেছে মিঠাই অভিনেত্রী সৌমিতৃষার সাথে। আসলে সিরিয়ালের দৌলতে জনপ্রিয়তা বাড়ায় ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াতেও লক্ষ লক্ষ অনুগামী হয়ে গিয়েছে অভিনেত্রীর।
আর এই বিশাল জনপ্রিয়তার জন্য অনেকটাই ভাগিদার অভিনেত্রীর ফ্যানেরা। তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন ফ্যান পেজ তৈরী করে প্রতিনিয়ত সিরিয়ালের আপডেট থেকে শুরু করে নানান ছবি শেয়ার করতে থাকেন যেটা মিঠাইয়ের জনপ্রিয়তা আরও বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। এই কথা অভিনেত্রী নিয়েও স্বীকার করে নেবেন! তবে জনপ্রিয় হবার পর ধীরে ধীরে পাল্টে গিয়েছেন সৌমিতৃষা। এই অভিযোগ নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করলে মিঠাই ভক্তগণরা।
আসলে যে সমস্ত ফ্যানপেজ থেকে সিরিয়ালের টুকরো দৃশ্য বা ছবি শেয়ার করা হয় তাতে সৌমিতৃষা নিজেও লাইক করতেন। এমনকি ভালো লাগলে নিজের ইনস্টাগ্রামে শেয়ারও করতেন সেগুলো। কিন্তু আজকাল আর সেসব করেন না, বা বলা ভালো আগের মত আর করেন না। এবার এই নিয়েই তৈরী হয়েছে গোল। দু ভাগে ভাগ হয়ে গেছে মিঠাই ভক্তরা। একদল মিঠাইয়ের পক্ষে অন্যদল বিপক্ষে।
বিপক্ষে যারা রয়েছেন তাদের দাবি মিঠাইয়ের ফ্যান পেজ তৈরি করে প্রতিদিন ছবি ও ভিডিও বানিয়ে শেয়ার করেন তাঁরা। যদিও সৌমিতৃষাকেও সক্রিয় হিসাবে পাওয়া যায়। সিদ্ধার্থ অভিনেতা আদৃত রায় সেভাবে সক্রিয় নন সোশ্যাল মিডিয়াতে। তবে এই সোশ্যাল পোস্টের বদলে তারাও তো একটাই লাইক ও শেয়ার আশা করেন, সেটাও অভিনেত্রী করছেন না।
এদিকে সৌমিতৃষার পক্ষেও রয়েছে নেটিজেনদের একাংশ। তাঁদের দাবি, সিরিয়ালের জন্য শুটিংয়ে ভারী ব্যস্ত থাকতে হয় অভিনেত্রীকে। কাজের ফাঁকে যেটুকু সময় পান তাতে ছবি ও ভিডিওগুলিতে ঠিকই লাইক করেন অভিনেত্রী। কিন্তু লাইক করতে না পারলে এভাবে ক্ষোভ প্রকাশ ঠিক নয়। এই বিষয়ে অভিনেত্রী নিজেও দুঃখপ্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, শুটিংয়ের ফাঁকে চেষ্টা করি পোস্টগুলো লাইক করে দেবার। কিন্তু সবসময় হয়ে ওঠে না, কারণ দিনের বেশিভাগ সময়টাই শুটিংয়ের জন্য ব্যস্ত থাকতে হয়।