টোকিও অলিম্পিক্সে (Tokyo olympics) ভারতের ঝুলিতে প্রথম মেডেল এসেছিল মণিপুরী কন্যা মীরাবাঈ চানুর (Mirabai Chanu) হাত ধরেই। দ্বিতীয় দিনেই ভারতকে জয়ের স্বাদ পাইয়ে দিয়ে বিশ্বের দরবারে ভারতবাসীর বুকের ছাতি কয়েক ইঞ্চি চওড়া করে দিয়েছিল বছর ২৬ এর এই মেয়ে। অধরা স্বপ্ন কে সত্যি করে ৪৯ কেজি বিভাগে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে রূপো জিতে নিয়েছেন তিনি।
টোকিও অলিম্পিকসে প্রথম বারের জন্য রূপো জিতে আজ বিশ্ব রেকর্ড করেছেন মীরাবাঈ চানু। তবে আজ তাঁর ঠোঁটের কোণায় যে চওড়া হাসিটা ঝুলছে তা এতটাও সহজে আসেনি। ব্যার্থতা থেকে অবসাদ একসময় সবকিছুই জাঁকিয়ে বসেছিল তাঁর মধ্যে। কিন্তু খেলোয়াড়রা বোধ হয় এমনই হয় জেতা ম্যাচ হেরে গিয়ে চোখের জল মুছতে মুছতে ম্যাচ ছাড়লেও অসম্ভব মনের জোর নিয়ে দুরন্ত কামব্যাক করতে পিছপা হননা তাঁরা। একথাই ফের একবার প্রমাণ করলেন ভারতীয় কন্যা মীরাবাঈ চানু। আর দাঁড়িয়ে দেখল, বাহবা দিল গোটা বিশ্ব। আর সবটা দেখে গর্বে মাথা উঁচু করল ভারতবর্ষ।
ছোট্ট গ্রাম থেকে আসা মেয়েটি আজ গোটা দেশের কাছে তারকা। দিন কয়েকের মধ্যেই সকলের মুখে মুখে মুখে ঘুরতে থাকে মীরাবাঈ চানুর নাম। আজ তার দেশজোরা ফ্যান। এই কয়েকদিনে ক্রিকেটের কিংবদন্তী শচীন তেন্ডুলকর, তার প্রিয় নায়ক সলমন খান, মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী সকলের সাথেই সাক্ষাৎ সেরে ফেলেছেন ‘রূপোর মেয়ে’ চানু।
এতদিন পর্যন্ত চানুকে দাঁতে দাঁত চাপা লড়াইতেই দেখা গিয়েছে। অ্যাথলিটের পোশাকে বিন্দুমাত্র সাজ নেই শরীরে। চোখে কেবল জয়ের খিদে। কিন্তু এবার সম্পূর্ণ নতুন রূপে ধরা দিলেন মীরাবাঈ। যাকে দেখে সত্যিই বোঝার উপায় নেই, যে এই মেয়েটিই ওই মেয়েটি।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় সাবেক মণিপুরী সাজে একটি ছবি শেয়ার করেন চানু। পেছনে পাহাড় আর চারদিকে সবুজের মাঝে হাল্কা রঙের ফানেকে (মণিপুরের পোশাক) অপূর্ব দেখাচ্ছে তাকে। ছবি আপলোড করে চানু লেখেন,’সাবেকি সাজ আমার খুব ভাল লাগে।’ নেটাগরিকরাও মজেছেন চানুর শাড়ি লুকে।